দেশকে পেছনে নেওয়ার অপচেষ্টা রুখতে প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ সাংস্কৃতিক বিপ্লব—তথ্যমন্ত্রী

Uncategorized অন্যান্য


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ দেশকে পেছনে নেওয়ার অপচেষ্টা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ সাংস্কৃতিক বিপ্লবের আহবান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র’ সেমিনার ও বাচসাস সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।

বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহসভাপতি অঞ্জন রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমীন, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং নয়াদিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ, বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, নির্বাহী সদস্য রাফি হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা এবং আমাদের তরুণ সমাজকে বিপথগামিতা, মাদকাসক্তি, জঙ্গিবাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই দেশে একটা সাংস্কৃতিক বিপ্লব দরকার। আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ জানাবো, আসুন সবাই মিলে সেটি করি। কারণ, যারা দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়, ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ অর্থাৎ বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যাও বলে শ্লোগান দেয়, তাদের হাত থেকে দেশটাকে রক্ষা করা দরকার।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সিনেমা ভালবাসতেন বলেই তার হাত ধরে সিনেমা শিল্প আমাদের দেশে চালু হয়েছে। গতবার আজীবন সম্মাননায় ভূষিত সোহেল রানা ভাই সিনেমা বানানোর পর বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করতে গেছেন এবং বঙ্গবন্ধু ‘ভালই তো করছ, অভিনয়েই থেকে যাও’ বলায় বঙ্গবন্ধুর এক কথায় এই লাইনেই থেকে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সিনেমা শিল্পের উন্নয়নের জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন এ জন্য যে সিনেমাকে তিনি ভালবাসেন। কারণ, ভাল সিনেমা সুষ্ঠু বিনোদনের জন্য সহায়ক।’

তিনি বলেন, জাতির পিতার হাত ধরে ১৯৫৭ সালে এফডিসি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরুর পর আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা উত্তরকালে দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যে উচ্চতায় চলচ্চিত্র শিল্প ছিল, মাঝখানে সেটি থমকে গিয়েছিল। একে একে সিনেমা হলগুলো সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল এবং ভাল সিনেমা, ভাল নির্মাতার অভাব সব মিলিয়ে থমকে গিয়েছিল। কিন্তু চলচ্চিত্র শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সিনেমা হলের সংখ্যা একশ’র নিচে নেমে গিয়েছিল, সেটা আবার তিনশ’তে পৌঁছেছে।

অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বাচসাস’র আয়োজনের প্রশংসা করেন ও সমিতির ৭ সদস্য আতাহার খান, সলিমউল্লাহ সেলিম, মাইনুল হক ভূঁইয়া, এ জেড এম রাহাগীর, এল এ সরকার বাচ্চু, বরুণ শংকর ও এস আর রেজার হাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

বাচসাস’র কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি রাশেদ রাইন, অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজকল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আঞ্জুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু হুরায়রা মুরাদ। নির্বাহী সদস্য লিটন এরশাদ, মাইনুল হক ভূঁইয়া, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, আমিনুর ইসলাম লিটন, রাশেদ আনিস, রাফি হোসেন, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *