সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আমীর খসরুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

Uncategorized আইন ও আদালত



!! মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বনানীর ১৭নং রোডের ২৭নং প্লটটি ডেভেলপ করার নামে উক্ত প্লটের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ২৫নং প্লট ক্রয়পূর্বক অনুমোদিত নকশা না মেনে উভয় প্লটে যথাক্রমে ২২ তলা ও ২১ তলা ভবন নির্মাণ শেষে পাঁচতারকা হোটেল সারিনা পরিচালনা করে আসছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন (২নং আইন) এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক সচিব জানান, আসামিরা যোগসাজসে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানাধীন বনানী এলাকার ১৭ নম্বর রোডের ২৭ নম্বর প্লটটি ডেভোলপ করেন !!




নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সাবেক জোট সরকারের বানিজ্য মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঢাকার অভিজাত এলাকা বনানীতে প্লট জালিয়াতি ও রাজউকের নকশা অমান্য করে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ করা সহ বিভিন্ন অভিযোগে দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) , এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।

দুদক কর্তৃক দায়ের কৃত দুর্নীতি’র মামলার আসামিরা যথাক্রমে,
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম,
আমীর খসরুর ভায়রা ভাই ও হোটেল সারিনার চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার, তার স্ত্রী ও সারিনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবেরা সরোয়ার (নীনা) এবং রাজউকের নকশা অনুমোদন শাখার পরিদর্শক আওরঙ্গজেব নান্নু।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বনানীর ১৭নং রোডের ২৭নং প্লটটি ডেভেলপ করার নামে উক্ত প্লটের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ২৫নং প্লট ক্রয়পূর্বক অনুমোদিত নকশা না মেনে উভয় প্লটে যথাক্রমে ২২ তলা ও ২১ তলা ভবন নির্মাণ শেষে পাঁচতারকা হোটেল সারিনা পরিচালনা করে আসছেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন (২নং আইন) এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদক সচিব জানান, আসামিরা যোগসাজসে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানাধীন বনানী এলাকার ১৭ নম্বর রোডের ২৭ নম্বর প্লটটি ডেভোলপ করেন। এ সময় তারা পাশের ২৫ নম্বর প্লটও ক্রয় করেন। এরপর রাজউকের অনুমোদিত নকশা বহির্ভূতভাবে উভয় প্লটে ভবন নির্মাণ করেন। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের জায়গায় তাদের নিজস্ব ভবন হওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি থাকার সুবাদে বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নকশা বহির্ভূতভাবে পাশের প্লটটি একীভূত করে ভবন নির্মাণ করেন। এরপর ভবনটি স্টক এক্সচেঞ্জকে না দিয়ে সেখানে তারা ৫ তারকা হোটেল ব্যবসা শুরু করেন।
এতে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে লাভবান হয়েছেন। মামলার তদন্তকালে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত এবং আরও যদি কেউ জড়িত থাকে তাও জানা যাবে বলে দুদক সুত্রে জানা গেছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *