আজ ৭ জানুয়ারি,ফেলানী হত্যার এক যুগ

Uncategorized অন্যান্য


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ২০১১ সালের এই দিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণ হারায় কিশোরী ফেলানী খাতুন। হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পেরিয়ে গেলেও ন্যায়বিচার পায়নি পরিবার।

মেয়ে হত্যার বিচার না পেয়ে হতাশা ও আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন বাবা-মা। তাদের প্রশ্ন, একটি প্রমাণিত হ্ত্যাডের বিচার পেতে এক যুগ ধরে অপেক্ষা করছি, আর কত সময় লাগবে?

আজ ৭ই জানুয়ারী।আজকের এই দিনে ঠিক ১২ বছর আগে ২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারী বাংলাদেশ স্বাক্ষী হয় ভারতের “so called বীর” BSF জওয়ান কর্তৃক পরিচালিত নৃশংস এক হত্যাকান্ডের। বিনা অনুমতিতে আন্তর্জাতিক সীমানা পার হওয়ার দায়ে নিরীহ এক কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করে তারা।

মেয়েটির বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর।বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে মানুষ হত্যা ভারতের জন্য নতুন নয়।কিন্তু ফেলানী খাতুনের নির্মম এই হত্যাকান্ড বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণের মনে গভীর এক ক্ষত সৃষ্টি করে। যে ক্ষত হয়ত ভারত কোনদিনই সারাতে পারবেনা।

এই হত্যাকান্ডের জেরে বাংলাদেশের পুরো একটি প্রজন্ম ভারত বিদ্বেষী হয়ে ওঠে।
মেয়েটি গুলি খাওয়ার পরও বেঁচে ছিল দীর্ঘক্ষন। গুলি খেয়ে ফেলানী খাতুন কাঁটাতারের উপর উল্টো হয়ে ঝুলে পড়ে। ক্ষত স্হান থেকে রক্তের স্রোত বেয়ে পড়ছিল বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টে।পুরো ৪টি ঘন্টা এভাবেই কাঁটাতারের উপর ঝুলে ছিল মেয়েটি।গুলি খাওয়ার পর যতক্ষণ সে বেঁচে ছিল ততক্ষণ একটা কথাই বলছিল “পানি….পানি”।

এই দীর্ঘক্ষণ ধরে মৃত্যুপথযাত্রী মেয়েটিকে সাহায্য না করুক একফুটা পানি দিতেও এগিয়ে আসেনি ভারতের বীর BSF। বিপরীতে ফেলানীকে হত্যাকারী জওয়ান Amiya ghosh তার সহকর্মীদের কাছ থেকে একুরেট টার্গেটে হিট করার কারণে বাহবা পেতে থাকে।

আহ মানবতা….বিশ্ব মানবতা সেদিন ঢুকরে কেঁদেছিল।
তবে ১২টি বছর পরেও সেই নির্মম হত্যাকন্ডের বিচার পায়নি ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম।

তৎকালীন সময়ে ভারতের মানবাধিকার সংগঠন গুলোর চাপে একপ্রকারর বাধ্য হয়েই ২০১৩ সালে এই হত্যাকন্ডের বিচার শুরু করে ভারত।তবে তা কাটা ঘায়ে নুনের ছিঁটে ছাড়া কিছুই ছিলনা।বিচার শুরু হয় সেই BSF এর আদালতেই।

তারাই বিচারক,তারাই তদন্ত কর্মকর্তা আবার তারাই অপরাধী। ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়েছে।BSF কোর্ট থেকে ১৮১ ব্যাটালিয়নের জোয়ান Amiya ghosh এবং তার আদেশদাতা অফিসারকে নির্দোষ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

এবং তাদের গুলি করাটা যথার্থ বলেই মেনে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ভারতের মানবাধিকার সংস্হাগুলো এই হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্হ হয়।সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে যথোপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দেওয়া হয়।কিন্তু সেই আশ্বাস এখনো পূরণ করতে পারেনি ভারত সরকার।(তথ্য সুত্রঃ ডিফেন্স রিসার্চ ফোরাম)


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *