আল্লামা সিদ্দিকীকে জাপানের অ্যান্বাসেডর করার আহবান

আন্তর্জাতিক এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন

আজকের দেশ ডেস্ক : তুরস্কে বাংলাদেশের অ্যামন্বাসেডর হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন আল্লামা সিদ্দিকী। তাকে জাপানের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাপানে অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রবাসীরা। তাদের মতে, আল্লামা সিদ্দিকী এর আগে জাপানের ফাষ্ট সেক্রেটারি ছিলেন। সে সময় ২ বছর মেয়াদী মনোবসু স্কলারশীপ নিয়ে জাপানি ভাষায় বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেন তিনি। এরপর ৫ বছর সেখানে অবস্থান করে জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ ভুমিকা পালন করেন। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাপানের সঙ্গে বর্তমান সরকার তথা বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক ভাল। তাদের নানাবিধ কর্মযজ্ঞে বাংলাদেশ আজ মধ্যআয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। আর উন্নত বাংলাদেশ গড়তে লাগবে জাপানের বিশেষ সহযোগিতা। এজন্য দরকার একজন দক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তা। যিনি স্থানীয় জাপানি ভাষায় বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। এদিক বিবেচনায় আল্লামা সিদ্দিকী সরকারের একজন উপযুক্ত, দক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তা। যিনি এর আগে জাপানে থেকে জাপানি ভাষায় বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেন।
জানা যায়, আল্লামা সিদ্দিকীর বাবা শেখ আব্দুল মালেক ছিলেন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর। বঙ্গবন্ধুর আত্বজীবনীর ১১ নম্বর পাতায় তা উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে একটি অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে হলান্ডে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বেলাল হোসেনকে জাপানের পরবর্তি রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে জনশ্রুতি আছে, এর আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির প্রভাবশালী নেতা এম মোরশেদ খানের সময় তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডাইরেক্টর এফএমও ছিলেন। তাই প্রবাসীরা বলছেন, জাপানে বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আল্লামা সিদ্দিকীকে নিয়োগ দেওয়া হলে বেশি উপকৃত হবেন বাংলাদেশসহ প্রবাসীরা। কারণ তিনি জাপানি ভাষা জানেন। এর আগে জাপানে থাকা অবস্থায় তার কাছে নানাবিধ সুবিধা পেয়েছেন প্রবাসীসহ স্থানীয়রা। তাই প্রবাসীরা তাকে জাপানের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *