স্টাই রিপোর্টার : নড়াইলে সর্ব রোগের চিকিৎসক ভন্ড কবিরাজ খোকন হুজুর কর্তৃক সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম সহ ৩ সাংবাদিকের উপর হামলা ও মিথ্যা মামলার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোমলমতি ছাত্রদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে আন্দোলন ও ব্যবহার করার হীন ঘটনা ঘটিয়েছে নড়াইলের ভওয়াখালী গ্রামের কোচিং বাণিজ্যের হোতা, সরকারী নির্দেশনা অমান্যকারী নড়াইল সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক মঞ্জুর হোসেন। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে নড়াইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামন এই ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, নড়াইল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত শিক্ষক মঞ্জুর হোসেনের কোচিং বাণিজ্যের খবর নড়াইলের সাংবাদিকরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করায় বেজায় ক্ষেপেছেন তিনি।
শুধু তাই নয়; তার অবৈধ কোচিং বাণিজ্য বৈধ করতে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রদের জিম্মি করে শুধু কোচিং করতে বাধ্য নয় ; ছাত্রদের ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা অভিযোগ শিখিয়ে আন্দোলন করানোর মত জঘন্য ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক নামের কলঙ্ক দূর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং এর শেল্টারদাতা মঞ্জুর হোসেনের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, “নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দুনীতিবাজ শিক্ষকের কোচিং বাণিজ্যে জিম্মি হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থী অভিভাবকেরা।” সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি, নড়াইলে দুর্নীতিবাজ শিক্ষক মঞ্জুর হোসেনের খুটির জোর কোথায়? শীর্ষক শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে দিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ শিখিয়ে এনে আন্দোলন করাতে বাধ্য করেন তিনি। এবিষয়ে (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে কোমলমতি ছাত্র’রা মিছিল করতে করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যায়।
এসময় সাংবাদিক’রা ছাত্রদের আন্দোলন করার বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র’রা এলোমেলো কথা বলতে থাকে। এসময় নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র লাবিব ফারহান বলেন, আগের দিন মঞ্জুর সারের কাছে পড়ে বাড়ি যাবার সময় কয়েকজন সাংবাদিক আংকেল আমার কাছে জিজ্ঞেস করে মঞ্জুর সারের কাছে কতজন পড়ি, কত টাকা করে পড়ি, এরপর বন্ধু’রা আমাকে মাঠের মধ্যে নিয়ে বন্ধু’রা আমাকে মারছে। আজকে (২০ ফেব্রুয়ারি) সোমবার মঞ্জুর স্যার আমাদেরকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে শিখিয়ে দিয়েছে। অর্দি, কায়েসসহ কয়েক বন্ধু আমাকে জোর করে মিছিলে নিয়ে গেছে, মিছিলে না গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আরো বলে, আমি ভয় পাচ্ছি, কয়েকদিন আগে কোচিং ক্লাসে সাংবাদিক আংকেল’রা আসলে মঞ্জুর স্যার বড় ভাইদের ডেকে এনে মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এসব বড় ভাইয়ে’রা মঞ্জুর স্যারের অধীনে কাজ করে।
স্কুল শিক্ষার্থী লাবিব আরো বলে, সে আগে মঞ্জুর স্যারের কাছে পড়ত না, তাকে ফেল করার ভয় দেখিয়ে অতিরিক্ত ক্লাসে আসতে বাধ্য করেছে। মঞ্জুর স্যার জোর করে বলে পড়লেও টাকা দিতে হবে, না পড়লেও টাকা দিতে হবে, আর না পড়লে তোমরা বিপদে পড়বা।
নড়াইল ২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা’র পিতা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপন নিজে মুঠোফোনে মঞ্জুর হোসেনের কাছে ছাত্রদের রাস্তায় নামিয়ে মিছিল করানোর বিষয়ে জানতে চান। মঞ্জুর হোসেন বলেন, সাংবাদিক’রা ছাত্রদের ঘাড় ধাক্কা দিছে তাই ছাত্ররা আন্দোলন করছে।
এ বিষয়ে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না, আমি দেখছি কি করা যায়।
এদিকে, নড়াইলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক এমন হীন ঘটনায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান খন্দকার আছিফুর রহমান বলেন, অবৈধ কোচিং বাণিজ্যের হোতা মঞ্জুর হোসেন নিজে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা স্লোগান ও মিথ্যা বানোয়াট গল্প সাজিয়ে সম্মানহানির চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির পক্ষ থেকে শিক্ষক মঞ্জুর হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক কঠোর শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
অন্যথায় নড়াইলে সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসূচি দেবে।
