নড়াইলের কাজলা নদী ভূমি খেকোদের দখলে,মনে হয় বাপ দাদার সম্পত্তি,দেখার কেউ নেই,প্রশাসন নিরব

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ও তুলারামপুর ইউনিয়নের দেবীপুর ও হোসেনপুর গ্রামে কাজলা নদীর অভ্যন্তরে,দেবীপুর ও হোসেনপুর গ্রামে’র নদীর মধ্যদিয়ে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে শতশত মাছের ঘের। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মাইজপাড়া ও তুলারামপুর ইউনিয়নের দেবীপুর ও হোসেনপুর গ্রামে কাজলা নদীর অভ্যন্তরে রাতের আধারে গড়ে উঠেছে এ সকল অবৈধ মাছের ঘের। নাম পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে জানান,ক্ষমতার জোরে রাতের আধারে নদী দখল করে এ সমস্ত মাছের ঘের তৈরি করছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী’রা। ক্ষমতার দাপটে কাজলা নদী দখল করছে কিন্তু প্রশাসন কিছুই বলছে না। এমনকি তুলারামপুর ইউনিয়নের নায়েব ও মাইজপাড়া ইউনিয়নের নায়েব দেখেও না দেখার ভান করছে, তাদের কিছুই বলছে না,তাহলে আমরা কি বলতে পারি,আমরা কিছু বলতে গেলেই আমাদের উপর ক্ষমতার দাপট দেখায়,এজন্যই আমরা কিছু বলি না। সরকারি সম্পত্তি সরকারের প্রতিনিধিদের সামনেই জোর করে ভূমি খেকো,ভূমিদস্যু’রা জবরদখল করে খাচ্ছে। নদী দখলের বিষয়ে আমরা একাধিকবার নায়েব সাহেবকে জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি।
স্থানীয় এলাকায় খোঁজ নিতে গিয়ে আরো দেখা যায়,ঘের রয়েছে কিন্তু ঘেরের মালিক নেই। নদী দখল করে এ সমস্ত ঘের কারা করেছে জানতে চাইলে স্থানীয়’রা কাউকে চেনেন না বা কিছু জানেন না বলে জানান। সাংবাদিকদের ক্যামেরার আড়ালে স্থানীয়’রা জানান,এ বিষয়ে আপনাদের কাছে বলে কি লাভ আমাদের,আপনারা কিছুই করতে পারবেন না,ওরা প্রভাবশালী ওদের ক্ষমতা অনেক প্রশাসন ওদের কিছুই করতে পারছে না বা পারে না,শুধু আমরা কিছু বলতে গেলেই জালা। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,
তুলারামপুর ইউনিয়নের চরপেড়লী,দেবীপুর গ্রামের লীটু,জান্নাত,ইশপাকুল,রুহল আমিন,মুক্তার,মনির,
স্কুল শিক্ষক মহিতোশ,বিপ্লব,মিজানুর,আর্সাদ,
রিপন,খয়বরসহ আরো অনেকে এসব মাছের ঘের কেটেছেন রাতের আধারে। এদিকে মাইজপাড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের বাবু খান,নাজমুল,
মুজিবর,ছলেমান,মফিজুর,হাফিজুর,সাফায়েত,আনারুল,সোবহান শিকদার,রকিব মাওলানা,নবীর মোল্লা,
কামরুল মোল্লাসহ আরো অনেকেই কাজলা নদী দখল করে অবৈধ ভাবে মাছের ঘের কেটেছেন। পেড়লী গ্রামের মনির হোসেন সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান,রাস্তার পাশে আমার কেনা জায়গা ভেঙে যাওয়ার পরে আমি মাটি কেটে গর্ত করি,যাতে প্রতি বছর পাট যাগ দিতে পারি,আমি কোন মাছের ব্যবসা করব না,আমি ছোট করে করেছি,আমার পাশে যারা বড় বড় ঘের করেছে তারা সবাই নদীর জায়গা দখল করে ঘের করেছে,তাদের কোন জায়গা নাই ওই খানে কিন্তু আমার জায়গা আছে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে আর কাউকে পাওয়া যায়নি বলে তাদের সাক্ষাতকার নেয়া সম্ভব হয়নি। তুলরামপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) আনন্দ মোহন জানান,আমি এমন খবর পেয়ে দেবীপুর গিয়ে দেখি নদী দখল করে বেশ কিছু ঘের কেটেছে কেবা কাহারা। আমি গ্রামের কমবেশি সকলকেই জানিয়েছি নদী দখল করে অবৈধভাবে ঘের কাটা যাবে না। পরে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসিল্যান্ড স্যারকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং নদীর জায়গা মেপে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়ার বিষয়েও অনুরোধ করেছি,স্যার এখনো আমাদের কিছুই জানাইনি বলেও জানান এ কর্মকর্তা।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *