!! কেরানীগঞ্জ ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির ও দালালদের মাধ্যমে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ, !! বরগুনার আমতলীর ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা ও শ্রমিক সরদার এর বিরুদ্ধে শ্রমিকদের মুজুরীর ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ !! বগুড়ার আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ !!
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ কেরানীগঞ্জ ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গ্রাহকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস চেক ও সনদ প্রধান বাবদ দালালদের মাধ্যমে ঘুস দাবি ও হয়রানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা কালে টিমের সদস্যগণ প্রথমে ছদ্মবেশে অফিসের সামগ্রিক সেবা প্রদান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এবং সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলে।
বিআরটিএ অফিস প্রাঙ্গনে বেশ কয়েকজন দালাল অর্থের বিনিময়ে সকল সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। নিরাপত্তা প্রহরী এবং আনসার সদস্যদের মধ্যেও ঘুষের বিনিময়ে কাজ করে দেয়ার চিত্র দেখা গেছে। কয়েকজন সেবাপ্রার্থী দালালদের দৌরাত্ম্য, অব্যবস্থাপনা এ সকল অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে টিম উক্ত কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার টিমের অভিযোগ স্বীকার করে নেন এবং জনবল সংকটকে সমস্যার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
হয়রানি দূরীকরণ ও গ্রাহক সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে এনফোর্সমেন্ট টিম দুর্নীতির সাথে যুক্ত কর্মচারী, আনসার সদস্য ও নিরাপত্তা রক্ষীদের পর্যবেক্ষণে রাখা, দালালদের বিরুদ্ধে বিআরটিএ কর্তৃক নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করাসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করে। বিআরটিএ অফিস প্রধান ঘুষ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমকে অবহিত করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
বরগুনার আমতলীর ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা ও শ্রমিক সরদার এর বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ধান চাল গুদাম জাতের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরির ২৫ লাখ টাকা আর আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয় পটুয়াখালী হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগে উল্লিখিত আমতলী উপজেলা খাদ্য গুদামে পরিদর্শন করে।
পরিদর্শন পূর্বক টিম আমতলী ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা, শ্রমিক সরদার, ঠিকাদার এবং দৈবচয়ন ভিত্তিতে ১ জন মিলার প্রতিনিধি ও ২ জন শ্রমিকের বক্তব্য শ্রবণ করে এবং সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। অভিযান পরিচালনা কালে অভিযোগের সত্যতা প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়নি।
বগুড়ার আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রকল্পের আওতায় ২০২১- ২০২২ অর্থবছরের মাটি কাটার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ শ্রমিকদের সঠিকভাবে না প্রদান করে আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয়, বগুড়া হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায় শ্রমিকদের টাকা প্রদান করা হয় মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ এর মাধ্যমে। বিকাশের হিসাব নম্বরের ত্রুটির কারনে অনেকেই টাকা পান নাই।ত্রুটি সংশোধনপুর্বক টাকা পাবেন মর্মে টিমকে জানানো হয়। অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়।