পেঁয়াজের দাম না কমলে বর্জন করুন: শিল্প প্রতিমন্ত্রী

অর্থনীতি এইমাত্র জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, যারা মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, তাদের মানুষ বলা যায় না। তারা মানুষরূপী কসাই। আপনারা যারা পেঁয়াজ কিনছেন, দাম না কমলে তারা বর্জন করবেন।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে (বালিকা) দরিদ্র-মেধাবী ছাত্রছাত্রী ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনুদানের চেক এবং দুস্থ ও দরিদ্র নারীদের সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, দেশে মাঝে মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। কারণ, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাবিরোধী ও সমাজের এক শ্রেণীর মুনাফাখোর, দুর্নীতিবাজরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। তারা বাজার অস্থিতিশীল করে তোলে। বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ প্লেনে করে আসছে, তারপরও দাম কমেনি। আপনারা যারা পেঁয়াজ কিনছেন, দাম না কমলে তারা বর্জন করবেন। সরকার পেঁয়াজ বিক্রি করছে ৪৫ টাকা দরে। এই পেঁয়াজ কিনতে বিশাল লাইন দেখলাম। সরকার যে পেঁয়াজ ৪৫ টাকায় বিক্রি করছে, তা কিনে আবার দোকানদারদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। এগুলো প্রতিহত করতে হবে।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে লবণের সংকট। এটা আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তাৎক্ষণিকভাবে আমি বলেছি, ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন লবণ এখনও আমাদের কাছে মজুদ রয়েছে। কাজেই কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মুনাফা লাভের চেষ্টা করা হচ্ছে। চাল উদ্বৃত্ত রয়েছে। কৃষকরা দাম পায় না। বলা হচ্ছে চালের দাম বাড়তি। একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ, মুনাফাখোর কোনো কিছু ভয় করে না। এদের আমরা মানুষ বলতে পারি না। এরা মানুষরূপী কসাই। এরা মৃত্যুকে ভয় করে না, ধর্ম-কর্মকে ভয় করে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একটি শিল্প। এই শিল্প উন্নত করতে হবে। আমাদের নতুন প্রজন্ম যেন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে, আগামীতে দেশের নেতৃত্ব দিতে পারে, সেজন্য তাদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা গরিব-অসহায়, অর্থের জন্য লেখাপড়া করতে পারে না, আপনারা যারা বিত্তবান রয়েছেন, আপনারা সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে আমাদের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার সুযোগ করে দেবেন। বাংলাদেশের যেন শতভাগ ছেলেমেয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পায়। আপনারা (বিত্তবানরা) সে ব্যবস্থা করবেন। আমি এই মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে প্রতিবছর মেধাবী ছেলেমেয়েদের বৃত্তি দেই। স্কুলের সদস্যরা আমরা প্রতিবছর এক কোটি টাকা স্কুলের ফান্ডে দেই। আমরা চাই, আমাদের ছেলেমেয়েরা মানুষের মতো মানুষ হোক।
অনুষ্ঠানে তিন হাজার টাকা করে একশ’ ছেলেমেয়েদের মধ্যে বৃত্তিপ্রদান ও ৩০ জন মহিলাকে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়।
মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন, সমাজসেবক তৌহিদুল ইসলাম, এ কে এম দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *