কক্সবাজার প্রতিনিধি : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। বেড়া দেওয়ার জন্য যে পিলার প্রয়োজন, সেগুলোর নির্মাণও প্রায় শেষ পর্যায়ে।’
রোববার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসের ৬টি ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে সব সময় ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। ওটা আমাদের জাতীয় নীতির অংশ। সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য আমি আগামী মাসে মিয়ানমার সফরে যাচ্ছি। ওখানে নানা বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের যে সীমান্ত রয়েছে, ওখানে কাঁটাতারের বেড়াও নেই, সীমান্ত সড়কও নেই। বর্তমান সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে ২৮৭ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক করার অনুমোদন দিয়েছে। এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। এরপর কাজ শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান আরও বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রশংসনীয় কার্যক্রম প্রদর্শনের মাধ্যমে এসব রেজিমেন্ট কালার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। রেজিমেন্টাল কালার পাওয়া যে কোনও ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান এবং পবিত্র আমানত।
এসময় রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির স্থায়ী সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংসদ সদস্য জাফর আলম, এয়ার কমোডর মুহাম্মদ শাফকাত আলী, ডিজিএফআই কক্সবাজার অধিনায়ক কর্নেল আবুজার আল জাহিদ, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মাহবুব আলম তালুকদার, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ ইউএনএইচসিআর, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিসহ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী তাকে অভ্যর্থনা জানান। এসময় সেনাবাহিনীর একটি চৌকশ দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন ও সেনাবাহিনী প্রধানকে সালাম জানায়।