মারুফ সরকার : সাংবাদকর্মী পরিচয়ে রাজধানীর মতিঝিলের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বহুবার একটি প্রচার মাধ্যমের এ আর মোল্লা নামে কথিত এক সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার অভিযোগ উঠেছে। কথিত ওই প্রচার মাধ্যম সহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের ভূয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করে৷বলেও অভিযোগ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়ছেন পেশাদার সাংবাদিকরা ৷
ব্যবসায়িদের অভিযোগ, এ আর মোল্লার নেতৃত্বাধীন প্রচার মাধ্যমকর্মী পরিচয়ে সংঘবদ্ধ কয়েকটি চক্র প্রতিনিয়ত রাজউকে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে আসছে ।
রাজউকে ভুক্তভোগিদের বাড়ির নকশা অনুমোদন করে দেওয়ার নাম করে টাকা খাওয়া এবং রাজউকের কিছু অসাধু পরিদর্শকদের সাথে সখ্যতা করে সেবা গ্রহিতাদের বিভিন্ন দূর্বলতা যেনে তাদের বিরুদ্ধে ভুইফুড় আন্ডারগ্রাউন্ড নামসর্বস্ব প্রচার মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করে এবং এই প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে রাজউক থেকে চিঠি পাঠিয়ে ভয়ভিতী প্রদর্শন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ।
পরে সেই টাকা পরিদর্শক আর কথিত প্রচার মাধ্যমকর্মী মিলে ভাগ ভাটোয়ারা করে নেয় । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগি জানায়, আমার ছোট বোনের স্বামির প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে হটাৎ নাম সর্বস্ব একটি প্রচার মাধ্যম, এই ভুয়া কতিথ সাংবাদিক পরিচয় প্রদানকারি প্রতারক এ আর মোল্লা সংবাদ প্রকাশ করিয়ে সে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভিতী প্রদর্শন করে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ।
এরপর সে পুনরায় আবার গত পহেলা জুন তার দলের অন্য সদস্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়ে রাজউকে গিয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ধমক দেয় এবং নোটিশ করতে বলে ।
এই সংবাদ জেনে সাথে সাথে এ আর মোল্লার সাথে যোগাযোগ করে তাদের প্রতারনার অফিস শরিফ ম্যানশানের লিফটের ৩ তলায় শেলটেক সিকরিউটিজ অফিসের এক কোনায় ( সম্ভবত সাব লেট নেওয়া অফিস) দেখা করি এবং তাকে বলি আপনি বার বার এভাবে কেন হয়রানি করছেন ?
পরে সে আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করে এবং সারা জীবন আর অপপ্রচার করবেনা বলে ওয়াদা করে তখন মান সম্মানের কথা চিন্তা করে ১ লক্ষ টাকা প্রদান করি এবং বাকি ৪ লক্ষ টাকা ১৫ তারিখ প্রদান করবো বলে কথা দিয়ে আসি । কিন্তু ১ দিন পরই আবার টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে ,এই চক্র বিভিন্ন সময় সাধারন মানুষদের টার্গেট করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি, কারখানা থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে বলে অভিযোগ উঠেছে । এর মাঝেই এ আর মোল্লা ভুক্তভোগির আইনি পদক্ষেপের বিষয় আচ করতে পেরে থানায় জিডি এবং পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে ।
তার সমস্ত অপকর্মের প্রমান ভুক্তভোগির হাতে রয়েছে । তবে হয়রানির ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলছে না । এ আর মোল্লার অন্যায় অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বললেই র্যাব পুলিশের হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগিদের থামিয়ে রাখে ।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিক এবং ব্যবসায়ি সমাজ ।