নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশে^র সেরা মহিলা রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, শ্রীমতি মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ৩রা ডিসেম্বর ভুটান, ৪ ডিসেম্বর নেপাল ও ৬ ডিসেম্বর ভারতের স্বীকৃতি প্রদানের ৪৮তম দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ শুক্রবার সাংবাদিক নির্মল সেন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এমএ জলিল। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাবি শিক্ষক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এনডিপির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ নেতা আ.স.ম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন পাঠান, বাংলাদেশ উন্নয়ন পার্টির চেয়ারম্যান শরিফুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি জাহানারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক সমীর রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ। প্রধান অতিথি অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, পাকিস্তানের শাসন শোষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে ৭০’র নির্বাচনের মাধ্যমে পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় আওয়ামী লীগ। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে অন্যায়ভাবে নিরস্ত্র জনগণের উপর সশস্ত্র আক্রমন করে। তাই বাধ্য হয়ে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা পক্ষাবলম্বন করে পুর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বকে সমর্থন দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, ইন্দিা গান্ধী প্রবাসী মুজিবনগর সরকারকে সমর্থন দেন এবং পরবর্তীতে বিশ^ জনমত গঠন করে শ্রীমতি মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর ভুটান, ৪ ডিসেম্বর নেপাল ও ৬ ডিসেম্বর ভারত স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে মুক্তিবাহিনীর সাথে এক হয়ে পাকহানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় হয়। এই বিজয়কে ধারণ করে আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী ও তাজউদ্দিন আহমেদের আকাঙ্খিত বাংলাদেশ গড়ার জন্য সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ঘুষ, চাঁদাবাজি, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছেন।
লায়ন গনি মিয়া বাবুল বলেন, ১৯৭১ সালে ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে ইন্দিরা গান্ধী মানবতার কাজ করেছেন। শোষণ শাসন নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। এই জন্য শ্রীমতি মিসেস ইন্দিরা গান্ধী বাঙালি বাংলাদেশের জনগণের কাছে চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
সভাপতি এমএ জলিল বলেন, শ্রীমতি মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য যে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন মানবতার পরিচয় দিয়েছেন তাদের অর্থনীতির ক্ষতি সাধন করেছেন। সেই কারণে আমরা গান্ধীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। সাথে সাথে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুর রহমানের কাছে আমাদের এই সভা থেকে দাবি ঢাকার ফার্মগেটে ইন্দিরা রোডকে ইন্দিরা গান্ধী সড়ক করার আহ্বান জানাই।