জয় দিয়ে বিপিএল শুরু চট্টগ্রামের

এইমাত্র ক্রিকেট খেলাধুলা

স্পোর্টস ডেস্ক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে আজ থেকে শুরু হয়েছে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। মাঠে খেলা গড়ানোর আগে গত ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল’এর উদ্বোধন করেছেন। দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট থান্ডারকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এই আসরে জয় দিয়ে শুরু করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ও রংপুর রেঞ্জার্স। এই ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টেলিভিশন ও মাছরাঙা টেলিভিশন।


বিজ্ঞাপন

বিশেষ বিপিএলের প্রথম ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট থান্ডার। প্রথম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক রায়ান এমরিট।


বিজ্ঞাপন

প্রথমে ব্যাট করতেই ধীরেসুস্থে খেলা শুরু করেছেন দুই ওপেনার রনি ও জনসন। দলীয় ৫ রানে রনির বিদায়ের পর মিথুনকে নিয়ে চট্টগ্রামের মোকাবেলা করেছেন জনসন। ২৩ বলে ৩৫ রান করে দলীয় ৫১ রানে নাসুমের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন জনসন। এরপর জেভান মেন্ডিস নেমে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ৪ রান করেই এমরিটের বলে ওয়ালটনের তালুবন্দী হয়েছেন তিনি। এরপর মিথুন-মোসাদ্দেকের জুটিতে এসেছে ৯৬ রান।

ডানহাতি ব্যাটসম্যান মিথুন ইনিংস শুরু করেছিলেন অবশ্য ধীরগতিতে। প্রথম ১৫ রান করতে খেলেন ১৯ বল। পরের ১১ বলে পৌঁছে যান পঞ্চাশে। পেসার মুক্তার আলীকে ছক্কা হাঁকিয়ে মিথুনের তাণ্ডব শুরু। এরপর স্পিনার নাসুম আহমেদের এক ওভারেই হাঁকান তিন ছক্কা। পরের ওভারে নাসির হোসেনকে ছক্কায় উড়িয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন মাত্র ৩০ বলে। ফিফটির পথে তার ব্যাট থেকে আসেনি কোনো চার। মেরেছেন পাঁচটি ছক্কা।

দলীয় ১৫৭ রানে রুবেলের বলে এমরিটের ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন মোসাদ্দেক। ৩৫ বলে ২৯ রান করেন সিলেটের অধিনায়ক। এরপর শেষদিকে মিলন এসে যোগ করেন ১ রান। ৪৮ বলে ৮৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন মোহাম্মদ মিথুন।

ভারত সফরে ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেই (বিপিএল) স্বরূপে ফিরলেন মোহাম্মদ মিথুন। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে ঝড় তুলে ফিফটি করেছেন সিলেট থান্ডারের মিথুন। তার ৪৭ বলে ৮৪ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে সিলেটের সংগ্রহ ১৬২ রান।

ট্টগ্রামের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেন রুবেল। ১টি করে উইকেট নেন নাসুম ও এমরিট।

১৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় চট্টগ্রাম। তবে ইমরুল কায়েসের লড়াকু ব্যাটিংয়ে সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে চ্যালেঞ্জার্সরা।

৬১ রানে ইমরুল কায়েস ফিরলে বাকি কাজটা সারেন ওয়ালটন এবং নুরুল হাসান। ৩০ বলে ৪৯ করে অপরাজিত থাকেন ওয়ালটন। ম্যাচ জয়ের মুহূর্তে তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন নুরুল হাসান। এই দুই জন ৬ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে দলকে জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান ইমরুল কায়েস।

এবারের আসরে অংশ নেয়া সাতটি দলের মধ্যে রয়েছে- ঢাকা প্লাটুন, খুলনা টাইগার্স, রাজশাহী রয়্যালস, রংপুর রেঞ্জার্স, সিলেট থান্ডার, কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স এবং চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

টি-টোয়েন্টির এ সংক্ষিপ্ত সংস্করণের আসরে এবার মোট ৪৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে প্রথম ৪২টি ম্যাচ লিগ পর্বে এবং বাকি চারটি প্লে-অফ রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্টের সেরা চারটি দল একটি এলিমেনেটর ও দুটি কোয়ালিফায়ের বিপক্ষে লড়বে। পরবর্তীতে কোয়ালিফায়ার হওয়া দুটি দলের মধ্যে আগামী ১৭ জানুয়ারি ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।

গতবারের মতো এবারও ঢাকা (শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম), চট্টগ্রাম (জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এবং সিলেটে (সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম) ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশের শীর্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অনেক তারকা ক্রিকেটারা বিপিএল খেলবেন। তবে আইসিসি থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান খেলছেন না।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে সামনে রেখে এবারের বিপিএলের নাম বঙ্গবন্ধু বিপিএল। এর আগে বিপিএলের আগের ছয় পর্বের মধ্যে- ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর (২০১২ ও ২০১২-১৩) ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স (২০১৫-১৬ ও ২০১৮-১৯) দুবার করে এবং ঢাকা ডায়নামাইটস (২০১৬-১৭) ও রংপুর রাইডার্স (২০১৭-১৮) একটি করে শিরোপা জয় করে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *