চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আমরা বিব্রতকর অবস্থায় আছি। একটা সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়। কিন্তু অযথা যাতে কাউকে হয়রানি করা না হয় সেটিও লক্ষ্য রাখতে হবে।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় নগরের সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি দেখভালের জন্য আমাদের নিজস্ব একটি তদন্ত টিমও আছে। তারা তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হয়তো কারো নাম বলতে পারে। আসলে সে জড়িত কিনা সেটাও খুঁজে বের করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, আমি অনুসন্ধানের বিপক্ষে নই। আবার এটাও না যে, ইচ্ছা হলেই তদন্তের নামে একজন জেলা কর্মকর্তা কিংবা রিটার্নিং অফিসারকে তুলে নিয়ে চলে গেলেন- যার সঙ্গে ভোটার করার কোনও সম্পৃক্ততাই নেই। ভোটার হতে কিছু কাগজপত্র দরকার হয়। এগুলো কোথা থেকে আসে সেটা খুঁজে বের করা দরকার।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, জন্মসনদ সহ বিভিন্ন সার্টিফিকেটগুলো যারা দিচ্ছে, কিভাবে দিচ্ছে- সেটা খুঁজে বের করা দরকার। যদি এ অনিয়ম সমূলে উৎপাটন করতে হয় তাহলে স্থানীয় পর্যায় থেকে অনুসন্ধান করতে হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা, বিজিবি-৮ এর পরিচালক লে. কর্নেল মো. মুনীর হোসেন, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য এবং উপজেলার নির্বাচনী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।