নিজস্ব প্রতিবেদক : ঋতুচক্রে এখন শীত, ৪ঠা পৌষ আজ। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দিনভর রাজধানীসহ সারাদেশে ছিল কুয়াশার চাদরে মোড়ানো। সূর্যের দেখা মেলেনি। বইছে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস, দেশের কোথাও কোথাও আগামী দু’দিনে তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
রাজধানীবাসী এই শীতে যতটা কাতর, তারচেয়েও অনেক বেশি শীতে জর্জর দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। কারণটা শীতের সঙ্গে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস জানান, আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই তাপমাত্রা কমতে থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ৬/৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন অনেক এলাকায় শৈত্য প্রবাহ বইছে। আরও বিস্তৃত হবে এলাকা। ঢাকার তাপমাত্রা আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমবে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মধ্যরাত থেকে দেশের অনেক অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্য প্রবাহ বইতে শুরু করে। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরও ছয় জেলার তাপমাত্রা সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে। বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ।
আজ রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৫, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৮ দশমিক ৮, নওগাঁর বদলগাছিতে ৯ দশমিক ৫, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৯ দশমিক ৮ এবং যশোরে ৯ দশমিক ২।
ঢাকায়ও কমেছে তাপমাত্রা। রাজধানীতে আজ ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩,যা গতকাল ছিল ১৬ দশমিক ২। এছাড়া চট্টগ্রামে ১৬, সিলেট ১৫ দশমিক ৮, রংপুরে ১১, খুলনায় ১২ এবং বরিশালে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আজ আকাশ মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, নীলফামারি, যশোর, ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটি আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। তাপমাত্রা রাতে আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমে যাবে। আজ ঢাকায় সূর্য ডুববে সন্ধ্যা ৫টা ১৫ মিনিটে। আর আগামীকাল শুক্রবার সূর্য উঠবে ভোর ৬টা ৩৬ মিনিটে।