নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থ আত্মসাতকারী মুশতাক গংয়ের হাত থেকে মসজিদ মাদ্রাসা রক্ষার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গোলচত্তর সংলগ্ন জামিয়া বাবুস সালাম, মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানা পরিচালনা কমিটি। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মো: আনিছুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামিয়া বাবুস সালাম মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন বেপারী, সাধারণ সম্পাদক এড জসিম উদ্দিন, শিক্ষক প্রতিনিধি মাওলানা রফিকুল ইসলামসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, সিভিল এভিয়েশনের চাকরিচ্যুত চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মুশতাক হোসেন রতন, তার মেয়ের জামাতা সোহেল এবং ভাগ্নি জামাতা মো. মোবারক হোসেন এরই মধ্যে ৭কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। হরিলুট অব্যাহত রাখতেই ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চালিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের কৌশল নিয়েছেন।
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা ও এতিমখানায় বর্তমানে ৫০০ জন এতিম গরিব ছাত্র নূরানী, মক্তব থেকে দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত বিনা বেতনে পড়াশোনা করছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৩৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। সাধারণ জনগণের যাকাত, ফেৎরা, দান ছাড়াও মাদ্রাসা ভবনের কিছু দোকান থেকে প্রাপ্ত ভাড়ার আয় দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ হচ্ছিল। প্রতিষ্ঠা কাল থেকেই পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হিসেবে মুশতাক হোসেন রতন আয়-ব্যয়ের হিসেব নিজের কাছে রাখার সুবাদে রক্ষক থেকে ভক্ষক হয়ে ওঠেন।
মুশতাক হোসেন রতন মাদরাসার বেশিরভাগ দোকান স্বনামে-বেনামে তার জামাতা, ভাগ্নি জামাতাসহ নিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের নামে নামমাত্র মূল্যে ভাড়া দেখিয়ে চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন। পরে সেগুলো বিভিন্ন লোকের নিকট কয়েক গুণ বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা পকেটস্থ করেছেন। এছাড়া মসজিদের সম্পত্তিতে মোবাইল টাওয়ার এবং সাইনবোর্ড ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অন্যদিকে মসজিদ-মাদ্রাসার নামে আদায়কৃত দানের টাকারও হিসেব নেই। তারা এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের ব্যবস্থা করে মসজিদ-মাদরাসা রক্ষা ও আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধারসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।