ব্যাবস্থপনা পরিচালক রওশান মাহমুদ।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা-মাওয়া সড়কের নিমতলি থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দুরত্বে মজিদপুর মৌজায় পানিতে নিমজ্জিত কৃষকের ধৈঞ্চা ক্ষেতে ৫টি সাইনবোর্ড টানিয়ে জমি না কিনেই প্লট বিক্রি শুরু করেছে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস। কৃষক নজরুলের ৪ শতাংশ জমিতে ছোট একটি ঘর তুলে প্রজেক্ট অফিস বানিয়ে প্লট বিক্রি করা শুরু করেছে।পাশেই রয়েছে বিরতারা সিটির সাইনবোর্ড। অন্যদিকে রূপগঞ্জ থানার দাউদপুর ইউনিয়নে চাইপারা মৌজা ও আগলা মৌজায়(পূর্বাচল বলে চালিয়ে দিচ্ছে) সামান্য কিছু জমি কিনে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস দেদারসে পানির দরে প্লট বিক্রি করে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে,সাইনবোর্ডর জন্যে জমি ভাড়া নিয়ে কোম্পানীর সাইনবোর্ড সেটে অন্যের জমি প্লট আকারে পানির দরে গ্রাহকদের নিকট বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস নামের একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, প্লট আকারে বিক্রির জন্যে দুই বছর আগে গজিয়ে উঠা এই প্রতিষ্ঠানের তেমন কোন জমিন কেনা নেই। যৎসামান্য যা একটু জমি কেনা আছে তার চেয়ে শতগুন বেশি প্লট বিক্রি করছে। পুর্বাচলে ও মাওয়াতে মানুষের জমিতে সাইনবোর্ড স্থাপনের জন্যে ভাড়া নিয়ে দেদারসে কল্পিত প্লট বিক্রি করে যাচ্ছে।
প্রতারনাপূর্ণ ব্যবসার একমাাত্র পূঁজি হচ্ছে গুলশানে বিলাসবহুল অফিস,সুন্দরী মার্কেটিং টিম ও মিডিয়াতে চটকদার বিজ্ঞাপন। তাদের প্রতারনার টার্গেট প্রধানত: প্রবাসী বাংলাদেশীরা। কথিত হাউজিং ব্যবসার প্রসারের জন্যে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস’র মাালিক রওশন আল মাহমুদ সুন্দরী সমেত মার্কেটিং টিম নিয়ে দুবাইতে সফর করেছেন বলে জানাগেছে। স্বল্প মূল্যে প্লট বিক্রি ও সামান্য পরিমান কিস্তিতে পরিশোধের সিসটেম হচ্ছে তাদের প্রতারনার অন্যতম কৌশল। সাথে বুকিং দিলেই উপহার সামগ্রির অফার। কৈ মাছের তেলে কৈ মাছ ভাজি করে কাস্টমারদের ভোজন করাচ্ছেন।
”জীবনে কিছু করার জন্য প্রয়োজন একটি সঠিক সিদ্ধান্ত। তাই টাকা জমা না রেখে জমিতে বিনিয়োগ করুন। আপনার বাসস্থান কে সাজিয়ে নিতে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড হয়ে উঠুক আপনার ভবিষ্যতের নিরাপদ সম্পদ”-এরকম শঠতাপূর্ণ প্রলোভন দেখিয়ে গণমাধ্যমে প্রচারনা চালাচ্ছেন। আবার কাঠা প্রতি মাত্র ৫.৪৫ লক্ষ টাকায় প্লট বিক্রি, নিস্কন্টক জমি, এককালীন স্বল্পদামে নিজ নামে জমির সাফ কবলা দলিল রেজিস্ট্রেশন,সহজ শর্তে এককালীন ও স্বল্প মেয়াদী কিস্তি সুবিধা প্রদানের সস্তা প্রলোভন দেখাচ্ছেন। অথচ এসব এলাকায় একদিকে যেমন তাদের কোন জমিন কেনা নেই;অন্যদিকে তেমনি তাদের প্রকল্প এলাকায় কাঠা প্রতি ১০ লাখ টাকার নিচে জমি বিক্রি হয়না।
তথাকথিত কোম্পানীর চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুল হুদা,ব্যবস্থাপনা পরিচালক রওশন আল মাহমুদ, পরিচালক নাজনীন আক্তার(রওশন আল মাহমুদ’র বিশেষ ঘনিষ্টজন), উপদেষ্টা মোঃ নূরুল ইসলাম ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রধান রেজাউল করিম। তবে কাগজে কোম্পানির মুলত: মালিক রওশন আল মাহমুদ। বাকিরা নামে চেয়ারম্যান,পরিচালক। তারা কেউই শেয়ার হোল্ডার নয়। ব্যবসার স্বার্থে তাদের নাম ব্যবহার করে মাত্র।
প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিঃ এর কথিত তিনটি প্রকল্প প্রিমিয়াম টাউন, প্রিমিয়াম গার্ডেন, প্রিমিয়াম ভ্যালী।
উল্লেখ্য, প্রিমিয়াম হোল্ডিংস’র মাালিক রওশন আল মাহমুদ একসময় প্রাইম এ্যাসেট গ্রুপের পূর্বাচল প্রাইম সিটির মার্কেটিং’র কাজ করতো। এখন প্রিমিয়াম হোল্ডিংস গুলশানে ২টি অফিস ও প্রায় ১০০ কর্মি নিয়ে হাউজিং ব্যবসার নামে প্রতারনা করছেন। স্টাফদের বেতন না দিয়ে কমিশন ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছেন।