নিজস্ব প্রতিবেদক : রামপুরা খাল লেখা ফলকে লাল রঙের ক্রস চিহ্ন দিয়ে ‘নড়াই নদী’ নাম ফলক স্থাপন করেছে নোঙর বাংলাদেশ, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
জানা গেছে, নদী ও প্রাণ প্রকৃতি সরক্ষা সামাজিক সংগঠন নোঙর বাংলাদেশের আয়োজনে ১৪ অক্টোবর ২০২৩, শনিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী সংলগ্ন নদীর তীরে ‘নড়াই নদী’র নাম ফলক উন্মোচন এবং নৌকা র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন থেকে রামপুরা খাল কিংবা বেগুন বাড়ি খাল বলে আর কোন জলাধার থাকবে না। ঢাকার একটি নদী ছিলো, নড়াই। সে নামেই ডাকা হবে। সামাজিক সংগঠন নোঙর এর উদ্যোগে বেশ ক’টি নদী রক্ষার সংগঠন এসব খালে ‘নড়াই নদী’ নামের ফলক বসিয়ে দিয়েছে। নড়াই নদী রক্ষায় বক্তারা নয় দফা দাবি পেশ করেছেন।
বক্তারা বলেন, নয় দফা দাবিতে নড়াই নদীর নাম ফলক স্থাপন এবং নৌকা র্যালীর আয়োজন করেছি। এবার নড়াই থেকে শুরু হলো, এর পর বালু. তুরাগ, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা নদীসহ পর্যায় ক্রমে দেশের সকল নদী রক্ষায় নৌকা র্যালী অব্যাহত থাকবে।
নদী রক্ষায় নোঙর বাংলাদেশ এর ৯ দফা দাবি;
সিএস নকশায় নড়াই নদীর ৯টি খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সীমানা পিলার স্থাপন করা। ইস্টার্ন হাউজিং, আফতাব নগর কে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা।রামপুরা থেকে হাতিরঝিল এবং গুলশান লেক পর্যন্ত নড়াই নদীর খালসমূহের সংযোগ স্থাপন করা।
কাওরান বাজার থেকে নড়াই, বালু, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা পর্যন্ত নৌ পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা।কাওরান বাজার, কলাবাগান, পিলখানা লেক ও ধানমন্ডি লেককে বুড়িগঙ্গা নদীর সাথে সংযুক্ত করা।
পান্থপথ উন্মুক্ত করত: নড়াই নদীর জায়গা নদী কে ফিরিয়ে দেয়া।রামপুরা ব্রিজ, গুলশান ১-২ লেকের লিংক সড়ক ভেঙ্গে সেতু নির্মাণ করা।দেশের নদী খেকো, বালু খেকো, ভূমি দস্যুদের “জাতীয় শত্রু”ঘোষণা করে কঠোর আইন প্রয়োগ করা। ২৩ মে তারিখকে সরকারিভাবে জাতীয় নদী দিবস ঘোষণা করত তা গেজেটভুক্ত করা।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে রাজধানীসহ দেশের সকল নদী, খাল, বিল, পুকুর, জলাশয় এবং প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষার অঙ্গীকার করা।