নইন আবু নাঈম তালুকদার, (বাগেরহাট) : বাগেরহাটের শরণখোলায় ৩৫/১ পোল্ডারের বেরিবাধের সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলার আশার আলো মসজিদ সংলগ্ন এলাকার প্রায় দেড় কিলোমিটার জুড়ে ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ১৮ অক্টোবর সকাল ৭টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ ভাঙ্গন পর্যায়ক্রমে অব্যাহত রয়েছে। এলাকাবাসীর ধারনা ভাটি শুরু হলে মূল বেরিবাধে ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে।
এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা উপজেলায় ৬৪ কিলোমিটার বেরিবাধ নির্মাণ করে চায়না কোম্পানি।
বেরিবাধের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও উপজেলার বগি গ্রাম থেকে উত্তর সাউথখালী পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার বেরিবাধ নদীশাসন ব্যবস্থা না থাকায় হুমকির মধ্যে পড়ে। দুই বছর আগে সেনাবাহিনির তত্বাবধানে একটি রিং বাধ মূল বেরিবাধের পূর্ব পাশে নির্মাণ করা হয়। কিন্তু অব্যাহত ভাঙ্গনের মুখে সে রিং বাধ প্রায় বিলিন হওয়ার পথে।
আজ বুধবার ১৮ অক্টোবর সকাল ৭টার থেকে দেড়টা পর্যন্ত উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নেন গাবতলার আশার আলো মসজিদ সংলগ্ন দেড় কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
দক্ষিণ সাউথখালী এলাকার বাসিন্দা সিদ্দিক হাওলাদার, আসাদুল খান ও আলী হাওলাদার জানায়, যেভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে মূল বেরিবাধ রাতে ভেঙ্গে যেতে পারে বালে তারা ধারনা করেছেন।
ওই এলাকায় বসবাসরত চালিতাবুনিয়া, বগি, গাবতলা এলাকার কয়েকহাজার পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কারন মূল বেরিবাধ ভেঙ্গে গেলে তাদের বাড়ীঘর পানিতে তলিয়ে যেতে পারে । আর এতে খেতের ফসল, হাঁস-মুরগি, পুকুর ও ঘেরের মাছের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
এ ব্যাপারে সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাজিব বলেন, নদী শাসন ব্যবস্থা না করে বেরিবাধ নির্মাণ করায় আজকে মূল বেরিবাধ হুমকির মুখে পড়েছে। তিনি কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম শামিম বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে উধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করবেন।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাগেরহাট জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।