কম্বোডিয়া-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে গ্যালারিতে হাজির হয়েছিলেন বিপুলসংখ্যক বাঙালি দর্শক।
নমপেন অলিম্পিক স্টেডিয়াম যেন হয়ে উঠেছিল এক টুকরো বাংলাদেশ। স্বাগতিক কম্বোডিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ দেখার জন্য গ্যালারিতে হাজির হয়েছিলেন হাজারখানেক প্রবাসী বাঙালি। নাবিব নেওয়াজ জীবন, মতিন মিয়াদের প্রতিটি মুভে গলা ফাটিয়েছেন তাঁরা। প্রিয় দলের জয় প্রাণভরে উপভোগ করেছেন গ্যালারিতে বসে। ম্যাচ শেষে ছবি তুলেছেন প্রিয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে। বিদেশের মাঠে গ্যালারি থেকে এমন অনুপ্রেরণা পেয়ে রোমাঞ্চিত বাংলাদেশ দলও। প্রবাসী দর্শকদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন কোচ জেমি ডে, অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও জয়ের নায়ক রবিউল হাসান।
প্রবাসী দর্শকদের সবচেয়ে বড় সার্টিফিকেট দিয়েছেন ম্যাচ জয়ের নায়ক রবিউল। মাঠে উপস্থিত ছিলেন প্রায় দশ হাজার দর্শক। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজারের মতো এসেছিলেন বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে। বাংলাদেশের দর্শকদের দাপটে গ্যালারিতে নাকি টিকতেই পারেননি স্বাগতিক সমর্থকেরা। মাঠ থেকে এমনই মনে হয়েছে রবিউলের, ‘মাঠে প্রায় দশ হাজার দর্শক ছিল। আমাদের ছিল প্রায় দুই হাজারের মতো। কিন্তু মনে হয়েছে আমাদের দর্শকই বেশি। আমাদের দর্শকদের চিৎকারে কম্বোডিয়া টিকতেই পারেনি।’
বিদেশের মাঠে এত বিপুলসংখ্যক বাঙালি দর্শক দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন অধিনায়ক জামাল। তাঁর মনে তো জেগেছিল প্রশ্নও, ‘আমার কাছে অবাক লাগছিল এত মানুষ এল কোথা থেকে। হৃদয়ের অন্তস্তল থেকে তাদের ধন্যবাদ।’ তাঁদের মাঠে আসা বৃথা যায়নি। বদলি দুই তরুণ মাহবুবুর রহমান সুফিল ও রবিউলের দুর্দান্ত রসায়নের একমাত্র গোলে জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠে ছেড়েছেন তাঁরা।
বাংলাদেশের কোচ জেমি ডেও প্রবাসী বাঙালিদের মাঠে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন, ‘দারুণ সমর্থন জুগিয়েছে তারা। কোচিং স্টাফ ও খেলোয়াড়েরা দর্শকদের খুব প্রশংসা করেছে। তারা দুর্দান্ত হইহুল্লোড় করে মাঠ জমিয়ে রেখেছিল।’ দেশ ও দেশের বাইরে এমন দর্শক-ই তো চায় বাংলাদেশ ফুটবল দল।