দীর্ঘ ৪ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলোনা ডাকাতি মামলার অন্যতম আসামি কালুর 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

দীর্ঘদিন যাবত পালিয়ে থেকে অবশেষে পিবিআই যশোর কর্তৃক গ্রেফতার হয়েছে ডাকাতি মামলার অন্যতম আসামি কালু।

 

নিজস্ব প্রতিনিধি  :  দীর্ঘ ৪ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলোনা যশোর বেনাপোল থানার ডাকাতি  মামলার অন্যতম আসামী কালুর,  ৪ বছর পর গতকাল শনিবার ২৫ নভেম্বর  পিবিআই যশোর কর্তৃক  গ্রেফতার, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে,  গত ২৫ জুলাই ২০১৯ সালে রাত আড়াইটার  সময় বাদী মোছাঃ রেক্সোনা বেগম (৪৫), স্বামী-মোঃ আমিরুল ইসলাম, সাং-ছোট আচড়া (মাঠপাড়া), থানা-বেনাপোল পোর্ট, জেলা-যশোর এর বসতবাড়িতে অজ্ঞাতনামা আসামীরা রাতের অন্ধকারে যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ছোট আঁচড়া(মাঠপাড়া) গ্রামস্থ বাদীর ১ তলা বাড়ী প্রাচীর টপকে বাড়ীর ছাদে উঠে। তারা সিড়ি ঘরের দরজা ভেঙ্গে নিচে নামে। বাদী টের পেয়ে তার শোয়ার ঘরের দরজা আটকাতে গেলে তারা বাদীর হাতে দা দিয়ে কোপ মারে।


বিজ্ঞাপন

তারা জোর পূর্বক বাদীর ঘর থেকে সোনার অলংকার নগদ ১,৫০,০০০ (এক লক্ষ পঞ্চাশ) হাজার টাকা একটি ঝধসংঁহম ল৭ মোবাইল লুট করে। এছাড়াও তারা বাদীর বাড়ীর ভাড়াটিয়া আঃ মজিদের ঘরে ঢুকে নগদ ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা ও সোনার অলংকার সর্ব মোট ৬,১৫,০০০ (ছয় লাখ পনের হাজার) টাকার মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানায় মোছাঃ রেক্সোনা বেগম (৪৫) নিজে বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে পরবর্তীতে বেনাপোল পোর্ট থানার মামলা নং-৬৮, তারিখ-২৬-০৭-২০১৯ , ধারা-৩৯৪ পেনাল কোড রুজু হয়।

পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম, অ্যাডিশনাল আইজি, বাংলাদেশ পুলিশ এর সঠিক তত্বাবধানে  ও দিক নির্দেশনায়, পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা এর নেতৃত্বে  তদন্তকারী অফিসার প্রকাশ্য ও গোপন তদন্তে গত ০২-০৩-২০২০ তারিখ  ৫ টা ২৫ মিনিটের  সময় ঘটনার সাথে জড়িত আসামী মোঃ শামিম শিকদার (২২), পিং-মোঃ আলামিন শিকদার @ কালু, সাং-জিউধারা, থানা-মোড়েলগঞ্জ, জেলা-বাগেরহাট, এ/পি-দারুল আমান মহল্লার গলি (আশরাফের বাড়ির ভাড়াটিয়া), থানা-সোনাডাঙ্গা, জেলা-খুলনাকে তার বর্তমান ঠিকানা হতে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। উক্ত মামলা সংক্রান্তে অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যহত থাকে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিরা গ্রেফতার এড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন পলাতক থাকে।

পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এসআই (নিঃ) মোঃ মিজানুর রহমান, এসআই (নিঃ) ডিএম নুরজামাল হোসেন সহ সঙ্গীয় যশোর জেলার চৌকস দল গতকাল শনিবার  ২৫ নভেম্বর  রাত অনুমান ৯ টার সময়  মামলার ঘটনার সাথে জড়িত অন্যতম আসামী আলামিন শিকদার @ কালু (৫০), পিতা-মৃত মোকছেদ শিকদার, সাং-জিউধরা, থানা-মোড়লগঞ্জ, জেলা-বাগেরহাট, এ/পি-দারুল আমান মহল্লার গলি(কিবরিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-সোনাডাঙ্গা, কেএমপি, খুলনাকে, দীর্ঘ ০৪ বছর পলাতক থাকার পর খুলনা সোনাডাঙ্গা থানাধীন ট্রাকস্ট্যান্ড কাঁচাবাজার মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়। মামলাটি তদন্তকালে গ্রেফতারকৃত আসামীর পূর্ববর্তী রেকর্ডপত্র যাচাই কালে দেখা যায় কালুর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক অস্ত্র, ডাকাতি ও দস্যুতা মামলা রয়েছে। উক্ত আসামী আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে জানা যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত  আসামি ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করলে আজ রবিবার  ২৬ নভেম্বর  জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত, বেনাপোল, যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যহত আছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *