রাজশাহী প্রতিনিধি : বাংলাদেশর মহান মুক্তি যুদ্ধে প্রতিবেশী ভারত অকৃত্রিম বন্ধু হিসাবে পাশে দাঁড়িয়ে ছিল, ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমর্থনা আদায়ে সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়েছেন। তার প্রয়াসের কারণে ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালিরা বিশ্বের তৎকালীন প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।সোভিয়েত নেতা লিওনিদ ব্রেজনেভের নেতৃত্বে তৎকালীন সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। গত কাল শুক্রবার বিকাল ৩ টায় রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ রাজশাহী বিভাগ আয়োজিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান।সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলিক শামসুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালিউর রহমান বাবু, আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মতিউর রহমান , রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. গোলাম সারোয়ার, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন মিন্টু, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি রাজশাহী মহানগরীর নেতা মোঃ মারুফ শাহারিয়া।বক্তারা বলেন মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ৬ই ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে বিজয় তরন্বিত করে ।
যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেই উদ্দেশ্য আজও পূরণ হয়নি। আজও শোষণ নির্যাতন বৈষম্য চলছে। লুটপাটের রাজনীতি আমাদের অর্জনকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে চলমান লুটপাটের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
আলোচনা সভার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভায় জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের বোয়ালিয়া আহবায়ক সাগর নোমানী , ইউসুফ আলী ,হিউম্যান রাইটস্ জানালিষ্ট ইউনিয়ন সভাপতি কাজি আসাদুর রহমান টিটু, সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম, সহ-মহিলা বিষয় সম্পাদক উম্মে নাজনীন, বিএমএসএস রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর হক টিটু, রাতুল সরকার, সহ রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।