নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা ও জনকল্যাণের বাণী নিয়ে প্রার্থীরা না আসলে নির্বাচন জনমূখী ও অংশগ্রহণমূলক হবে না। অন্যদিকে, নির্বাচন ঠেকাতে যারা রাজনৈতিক আন্দোলন করছেন, তাদেরও জনগণকে জিম্মী করার সাংবিধানিক অধিকার নেই।”-বললেন “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। আজ শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর, জাতীয় প্রেসক্লাবে জনলোকের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন।
এ সময়ে তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের সংবিধান যে ২২ টি মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছে, তা এদেশের প্রতিটি নাগরিককে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার দেয়। জোর জবরদস্তি করে এদেশের মানুষকে কেউ রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে পারবে না।”
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা কাঙ্খিত লক্ষে পৌছাতে পারি নি। বঙ্গব›ধুর বিজ্ঞানভিত্তিÍক শিক্ষার লক্ষ্য পূরণ করতে পারিনি বলেই বাংলাদেশ আজ সংকটে। বঙ্গবন্ধু প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একমূখী শিক্ষার কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমরা ভুল পথে হেঁটে শিক্ষাকে বৈষম্যমূলক করেছি। যার ফলে জাতি বিভক্ত হয়েছে।”
বর্ষীয়ান এই শিক্ষাবিদ বলেন, “রাজনীতি, ধর্ম ও সমাজের শ্রেণিগত বিভাজনের কারণে বাংলাদেশের কাঙ্খিত সাফল্য আমরা দেখেতে পাই না।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য বলেন, “গণতন্ত্র তখনই অর্থবহ হবে যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের প্রতিটি নাগরিক দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে। ভেদাভেদের রাজনীতি আর সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টি করতে তৃণমূল পর্যায়ে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ও মুক্তবুদ্ধির চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যে সামাজিক সংগঠন জনলোক দেশব্যাপী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে বিশ্বমানবতার জন্য কাজ করছে।”
মাওলানা আকরাম খাঁ হলে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডক্টর সঞ্জীব রায়, সাবেক ছাত্রনেতা সামসুল আলম সজ্জন, তানভীর রুসমত, মুক্তার হোসেন নাহিদসহ জেলা পর্যায় থেকে আসা প্রতিনিধিরা। সভাপতিত্ব করেন জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম সুজন। দিনব্যাপী প্রতিনিধি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জনলোকের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হবে।