নইন আবু নাঈম তালুকদার, (বাগেরহাট) : বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পরে আন্দোলন সংগ্রামে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলা ব্যক্তির নাম শহীদ মনিরুজ্জামান বাদল। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ মনিরুজ্জামান বাদলের ৩২ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাগেরহাটের শরণখোলায় বায়েন্দা বাজার পুর্বমাথায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ এ কথা বলেন।
আজ মঙ্গলবার ৯ জানুয়ারী, বেলা ১১ টার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে শহীদ মনিরুজ্জামান বাদলের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রায়েন্দা বাজার পুর্ব মাথায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তার সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলনের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ মনিরুজ্জামান বাদলের সহধর্মিণী শামীম আরা বাদল। সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম খোকন, প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা এমএ রশিদ আকন, শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ইমরান শেখ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে খোন্তাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন, সাধারন সম্পাদক তাজু সরদার, রায়েন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান বাদল জোমাদ্দার, সাউথখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু রাজ্জাক আকন, সাধারন সম্পাদক হাসানুজ্জামান পারভেজ, ধানসাগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম কবির, সাধারন সম্পাদক তপু বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বদিউজ্জামান সোহাগ আরও বলেন, মনিরুজ্জামান বাদল ছিলেন একজন ছাত্র সংগঠক। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল সেই স্বৈরশাসকের ষ্টিম রোলারের সামনে দাড়িয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। শরণখোলাকে ঘিরে মনিরুজ্জামান বাদলের স্বপ্নগুলো বাস্তবে রুপান্তর করার জন্য সকলকে সহযোগীতা করার আহ্বান জানান।