গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের আউটসোর্সিং কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ   

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী :  গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউট সোর্সিং কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,  আউট সোর্সিং এ কর্মরত কর্মচারীদের কোন কাজে পাওয়া যায় না। যাদেরকে পাওয়া যায় তারা সব কিছু করেন টাকার বিনিময়ে। রোগী হাসপাতালে ভর্তির পর বেডে নেওয়া থেকে শুরু হয় টাকার লেনদেন। আউটসোর্সিং এ কর্মরত কর্মচারীরা ঠিকঠাক হাজিরা উঠিয়ে চলে যান ব্যক্তিগত কাজে।


বিজ্ঞাপন

গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকার কর্তৃক ঠিকাদারদের মাধ্যমে আউট সোর্সিং এ ১৬৩ জন কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়ছে  বিভিন্ন পর্যায়ে। এই সকল নিয়োগ প্রাপ্তরা প্রতি মাসেই সময় মতো বেতন ভাতা তুলে নিচ্ছেন সরকারের কাছ থেকে। বেতন ভাতা সময় মতো নিলেও কর্মস্থলে অনেককে কাজের সময় পাওয়া যায় না। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়  ঠিকাদাররা তাদের  নিজস্ব লোকজন নিয়োগ দিয়েছেন অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে।


বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ সকল নিয়োগ প্রাপ্তদের মধ্যে অধিকাংশ কর্মস্থলে নাই। এরা হাসপাতালে ডিউটি করছে যে যার ইচ্ছা মত।  যে সকল ঠিকাদারদের মাধ্যমে এরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চাকুরিতে নিয়োগ পেয়েছেন  তারাও এ ব্যাপারে নজরদারি করেন না। ঠিকাদাররা নিয়োগ দিয়েই দায় মুক্ত হয়েছেন। এ-সব কারনে ভোগান্তিতে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গণমাধ্যমকর্মীদের একটি দল অভিযোগের ভিত্তিতে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান  এখানে যারা নিয়োগ পেয়েছে তারা সকলেই এই এলাকার ও আশেপাশের লোকজন। তাই তারা এলাকার দাপট দেখিয়ে চলে। আবার কেউ কেউ  প্রভাবশালী ঠিকাদারদের লোক। যে যার ইচ্ছা মতো ডিউটি করে দেখার কেউ নাই।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক প্রিন্সিপাল ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠানটি জনগণের সম্পদ, এটা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আউট সোর্সিং এর জনবল যে সকল ঠিকাদারদের মাধ্যমে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছে, সেই সকল ঠিকাদারদের উচিত ওরা ঠিকমতো কর্তব্য পালন করছে কি না সেটা দেখা। আমি এই সকল বিষয় নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছি।

এ ব্যাপারে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক শেখ আব্দুল লতিফের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা কড়া নজরদারি করছি। মেডিকেল হাসপাতালটি আপনাদের সকলের সম্পদ। এ ব্যাপারে আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। আমাদের সাধ্যমতো আমরা কাজ করছি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *