বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি: রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ব্রাশফায়ারে সাত খুনের ঘটনায় নিহত ও আহত পরিবারের মাঝে অনুদান প্রদানের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশন একেএম নুরুল হুদা বাঘাইছড়ি যাচ্ছেন বলে জানা যায়।
রবিবার (৭ এপ্রিল) বাঘাইছড়ি উপজেলা মিলানায়তনে সিইসি সকাল সাড়ে ১১টায় নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত হতাহতদের মাঝে অনুদান প্রদান করবেন এবং স্থানীপ্রশাসন সহ জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিমিয় করবেন বলে জানিয়েছে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা চৈতালী চাকমা।
এসময় তিনি নিহত সাত পরিবারের প্রতি পরিবারকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের প্রতি পরিবারকে এক লাখ টাকা এবং সাধারণ আহতদেরকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে প্রদান করবেন।
হতাহত ৪০জনের মাঝে রয়েছে নিহত ৭জন, গুরুতর আহত ১৯জন, সাধারণ আহত ১৪জন, নিহত সাতজনের মধ্যে ৪জন আনসার ভিডিপি সদস্য, প্রিজাইডিং পোলিং অফিসার ২জন, প্রার্থীর এজেন্ট ১জন।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলার বাঘাইহাট কেন্দ্রে দায়িত্বরত পোলিং অফিসার একজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার পরিবারের সদস্যদের সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করা হবে বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত, ১৮ মার্চ (সোমবার) দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হয় বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দায়িত্বপালন শেষে নির্বাচনী সরঞ্জামসহ উপজেলার সাজেকের কংলাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ছেড়ে গাড়িবহর নিয়ে উপজেলা সদরে ফেরার পথে নির্বাচনী কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীদের দল। দিঘীনালা-মারিশ্যা সড়কের ৯কিলো নামক এলাকায় পৌছাঁলে অতর্কিত এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা।
এতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় ৬ জন। যাদের মধ্যে ছিলেন নির্বাচনী দায়িত্বপালন করা শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও আনসার-ভিডিপি সদস্য। রাতে বাঘাইছড়ি থেকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম নেয়ার পথে মারা যান গুলিবিদ্ধ শিক্ষক মো. তৈয়ব।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি সদস্য, স্কুল-কলেজের শিক্ষকসহ আহত হন অনেকেই।