নিজস্ব প্রতিনিধি (কক্সবাজার) : বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ৩,০০,০০০ (তিন লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ নাফ নদীর জিন্নাহখাল নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদর এবং সাবরাং বিওপি’র দুইটি চোরাচালান প্রতিরোধী টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে একটি টহলদল বেড়িবাঁধের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে এবং অপর একটি টহলদল নাফ নদীতে নৌ টহলরত অবস্থায় থাকে।
আনুমানিক সাড়ে ১০ টায় বিজিবি টহলদল চারজন ব্যক্তিকে একটি ইঞ্জিন চালিত কাঠের নৌকাযোগে সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জিন্নাহখাল নামক এলাকায় নাফ নদীর কিনারায় নৌকা হতে কিছু বস্তা নামাতে দেখে।
তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই উক্ত ব্যক্তিরা দ্রুত নৌকা নিয়ে সীমান্ত শূন্য লাইন অতিক্রম করে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া দু’টি প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতর হতে ৩,০০,০০০ (তিন লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
তবে, চোরাকারবারীদেরকে সনাক্ত করার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।