নিজস্ব প্রতিবেদক : ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম মামলার সাজার হার বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে মামলার সাজার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আইজিপি গতকাল রবিবার ৩ মার্চ সকালে পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪-এর শেষ দিনের প্রথম অধিবেশনে আইজিপির সাথে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণের সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোঃ কামরুল আহসান বিপিএম (বার)। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ও এ সম্মেলন সংক্রান্ত উপ-কমিটির সভাপতি মোঃ আতিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
র্যাব মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন বিপিএম (বার), পিপিএম, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) সহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি সকল ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশের সকল ইউনিটের সদস্যদের নিষ্ঠার সাথে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
পুলিশ প্রধান স্পর্শকাতর মামলার সাজা নিশ্চিত করার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।উল্লেখ্য, পুলিশের সার্বিক কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্বের উৎকর্ষের ফলে ২০২২ সালে সারাদেশে মামলার সাজার হার ১৭ ভাগ হতে ১১ ভাগ বেড়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ২৮ ভাগে উন্নীত হয়েছে।
আইজিপি বলেন, পুলিশ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের ফলে পুলিশের কাছে জনগণের প্রত্যাশার মাত্রা বেড়েছে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী জনআস্থা অর্জনের লক্ষ্যে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। পুলিশ প্রধান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম অভিযাত্রী বাংলাদেশ পুলিশ। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ স্মার্ট পুলিশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকল পুলিশ সদস্যকে ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
সভায় কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদারকরণ, সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী পুলিশিং ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের বিভিন্ন উইং, সিআইডি, পিবিআই এবং এসবি সংক্রান্ত প্রশাসনিক ও অপারেশনাল বিভিন্ন বিষয় সভায় উপস্থাপন করা হয়। সভায় গত বছরের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।