মো:রফিকুল ইসলাম,(নড়াইল) : নড়াইল সদর উপজেলার শিংগাসোলপুর ইউনিয়নের চুনখোলা গ্রামের আলতাব বিশ্বাসের ছেলে সাফায়েত বিশ্বাস দুই বছর আগে,পারিবারিক ভাবে নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মৃত-মিন্টু শেখের মেয়ে চম্পা খাতুনকে বিবাহ করেন,বিবাহের পর থেকেই খুটিনাটি বিষয় নিয়ে স্ত্রী চম্পা খাতুনকে মারধোর করতেন,স্বামী সাফায়েত বিশ্বাস। বিবাহের ১ বছর পর স্ত্রী চম্পা খাতুনের কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে কণ্যা সন্তান।
এদিকে,বাবা হারা চম্পা খাতুন,মির্জাপুর গ্রামের নানা খোকন মুন্সির বাড়িতেই বড় হয়েছেন। চম্পা খাতুনের নানা মির্জাপুর গ্রামের খোকন মুন্সির পারিবারিক অবস্থা ভালো না হলেও সাধ্য অনুযায়ী সব কিছুই দিয়েছেন,চম্পা খাতুনের স্বামী সাফায়েত বিশ্বাসকে। দিন দিন সাফায়েত বিশ্বাস স্ত্রী চম্পা খাতুনের উপরে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন,প্রতিনিয়তই বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলে,টাকা এনে দিতে না চাইলেই সুরু হয় নির্যাতন বলে অভিযোগ করে জানান,নির্যাতনের শিকার চম্পা খাতুন,নানা খোকন মুন্সি ও মামা তারিফুল শিকদার। এর আগেও চম্পা খাতুন কে মারধোর করে বাড়ি থেকে বের করে দিলে চম্পা খাতুন নানা বাড়িতে এসে থাকলে কিছু দিন পরে শিংগাসোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মিমাংসা হলেও আবারো নির্যাতনের অভিযোগ।
এ বিষয়ে,মুঠোফনে অভিযুক্ত সাফায়েত বিশ্বাস এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,খুটিনাটি বিষয় নিয়ে সংসারে ঝামেলা করে আমার স্ত্রী চম্পা খাতুন এবং আমি তার কানের দুল বন্ধক রেখেছি বলে ঝামেলা হয়েছে।
গণমাধ্যম কর্মি ফোন করায় অভিযুক্ত সাফায়েত বিশ্বাস তার মাকে মির্জাপুর গ্রামের নানা খোকন মুন্সির বাড়ি থেকে স্ত্রী চম্পা খাতুনকে আনতে পাঠালে,চম্পা খাতুন আসবে না এবং নানা খোকন মুন্সি আদালতের মাধম্য চম্পা খাতুনকে দিবেন,বলে জানান,চম্পা খাতুনের স্বামী সাফায়েত বিশ্বাস।