নইন আবু নাঈম, শরণখোলা (বাগেরহাট) : বাগেরহাটের শরণখোলায় জমি দখলের অভিযোগ তুলে এক তথা কথিত মৎস্য ব্যবসায়ী উপজেলা আওয়ামীলীগ এর নির্বাহী সদস্য ও ৭ বারের ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন তার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি সদস্য শাহজাহান বাদল ও তার সহযোগীরা।
জমি দখলের ঘটনাটি মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর দাবী করে শনিবার (২৯ জুন) সকাল ১১ টায় শরণখোলা উপজেলা প্রেসক্লাবে জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তথা কথিত মৎস্য ব্যবসায়ী আঃ রহিম একজন প্রতারক, ঠকবাজ ও সন্ত্রাস প্রকৃতির লোক। সামাজিক ভাবে আমার ও আমাদের সহযোগীদের হেয় প্রতিপন্ন করতে গত ২৬ জুন বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সাংবাবিদিকদের মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেন। আমাদের সামাজিক ভাবে মান সম্মান ক্ষুন্নের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। জমি দখলের ভিত্তিহীন তথ্য বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত হয়।
শাহজাহান বাদল দাবী করেন ২নং খোন্তাকাটা ইউপির ৭ নং ওয়ার্ডের ৬ নং আমড়াগাছিয়া মৌজার এসএ ১২৯৭ খতিয়ানে তিনি ও তার সহযোগী মোঃ জামাল ঘরামী ও জিয়াউদ্দীন ও মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খোন্তাকাটা ইউনিয়নের একই এলাকার আজিজ কাজী, কামাল হোসেন, আজমল, মোসাঃ মনোয়ারার ও মুন্নির নিকট হতে ২০২৩ সালে ০.৪০৮২ শতক জমি কবলা মূলে রেজি করেন।
তিনি আরও জানান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলনের কাছ থেকে যে জমি আঃ রহিম ক্রয় করেছে সেই জমির দাগ খতিয়ানের সাথে আমাদের জমির কোনো মিল নাই। অথচ প্রতারক আঃ রহিম হাং আমাদের জমি দখল করার উদ্দেশ্যে আমাকে ও আমার সহযোগীদের খুন জখম করার হুমকী দেয়।
এর আগে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন সাবেক শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকরাম হোসেন এর মাধ্যমে শালিশ বৈঠকের চেষ্টা করলেও তিনি তা এড়িয়ে যান। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু সমাধান সহ প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করি।
এ ব্যাপারে আঃ রহিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একই ওয়ারিশের জমি আমি ২০১৩ সালে ক্রয় করেছি। তাদের জমি অন্য দাগে কিন্তু তার আমার জমি দখল করতে চায়।