নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ রবিবার ১৪ জুলাই, ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশে (ইউসিবি) মোনাশ ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশন ইয়ার (এমইউএফওয়াই) প্রোগ্রামের নবম ইনটেকের ওরিয়েন্টেশন সেশন শুরু হয়েছে। গত জানুয়ারিতে চলতি বছরের প্রথম ইনটেকের ওরিয়েন্টেশন সফলভাবে শেষ হওয়ার পর এবারে শুরু হতে যাচ্ছে বছরের দ্বিতীয় ব্যাচের কার্যক্রম।
ওরিয়েন্টেশনে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের বিশ্বখ্যাত এমইউএফওয়াই প্রোগ্রাম এবং ইউসিবি ও মোনাশের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষাপদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। আয়োজনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের জন্যও নির্ধারিত ওরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা ছিল, যেখানে তাদের বিভিন্নরকম এমইউএফওয়াই প্রোগ্রামের খুঁটিনাটি এবং শিক্ষার্থীরা এই প্রোগ্রাম শেষ করে কীভাবে মোনাশ ও বিশ্বমানসম্পন্ন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন তা বিস্তারিত জানানো হয়।
আয়োজনে ইউসিবি’র পক্ষ থেকে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ডিন অব অ্যাকাডেমিক অ্যাফেয়ার্স অধ্যাপক মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন এবং ইউসিবি’র প্রেসিডেন্ট ও প্রভোস্ট অধ্যাপক হিউ গিল। আয়োজনে মোনাশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মোনাশ ইউনিভার্সিটির ইউনিভার্সিটি মার্কেটিং, অ্যাডমিশনস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস আজরা করিম ও মোনাশ ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটিং অ্যান্ড ফিউচার স্টুডেন্টস ড্যানিয়েল লাম। মোনাশের এই দলটি অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়ার বিভিন্ন মোনাশ প্রোগ্রাম এবং এমইউএফওয়াইয়ে পড়াশোনা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সকলকে জানান। এছাড়াও, শিক্ষার্থীরা এমইউএফওয়াই প্রোগ্রাম থেকে কী অর্জন করতে পারবেন, ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে এ সম্পর্কে তাদের জানান সিনিয়র লেকচারার ও এমইউএফওয়াই প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আমব্রিন জামান।
এ বিষয়ে ইউসিবি’র প্রেসিডেন্ট ও প্রভোস্ট অধ্যাপক হিউ গিল বলেন, “ঢাকায় ইউসিবি এমইউএফওয়াইয়ের ফলাফল এখন অস্ট্রেলিয়ায় মোনাশের থেকেও ভালো। এমইউএফওয়াই সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা বিশ্বের ৪০টি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে। আর আমাদের সকল শিক্ষার্থীই এ প্রোগ্রাম থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে এবং আমাদের এখানে ভর্তির হারও বাড়ছে। আমাদের এই সাফল্য বাংলাদেশে বসেই বিশ্বমানের শিক্ষার স্বপ্নপূরণ করতে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আরও বেশি অনুপ্রাণিত করছে। আমাদের সকল শিক্ষার্থীর জন্য সেরা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অংশগ্রহণ এবং পেশাগত জীবনে সফল হওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে সুযোগ তৈরি করতে পেরে ইউসিবি অত্যন্ত গর্বিত।”