নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার রায়টুটি ইউনিয়নের রাজি এলাকায় স্থানীয় প্রভাব বিস্তার প্রতিহিংসার জেরে কাপুরুষ মোড়লদের নির্দেশে সিকি দালাল শামসুলের বন্য হিংস্র বর্বর আক্রমণের শিকার ভুক্তভোগী। দালালিকান্ডে বেপরোয়ারা লাটিয়াল শামসুল (প্রকাশ টিক্কা সারো) আতঙ্কে নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভোগীর পরিবার স্বজন ও গ্রামবাসী।
ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে দালালি কমিশন, প্রতিহিংসা ও পুর্বপরিকল্পিত পক্ষপাতদুষ্ট মাস্টারমাইন্ড। যারা অহেতুক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই স্বার্থ অর্থ ফায়দা আদায় করাই তাদের পেশা এবং নেশা। তাদের টার্গেট শিকারে ভুক্তভোগী গ্রামের অসহায় সাধারণ নিরীহ মানুষ। মুল পরিকল্পনাকারীরা স্বার্থ অর্থ আদায় করাই তাদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। রাজনৈতিক ছত্রছায়া ও ক্ষমতা অপব্যবহারে রয়েছে আড়ালে থেকে যায় ধরাছোঁয়া নাগালের বাহিরে।
সম্প্রতি দালাল সামসুলের অপকর্ম ধামা চাপার অপচেষ্টায় মরিয়া অসাধুচক্রের সিন্ডিকেট চক্রের। সত্য প্রকাশে ও প্রতিবাদে উল্টো ভুক্তভোগীকেই প্রাণনাশের অপচেষ্টা। অসৎ উপায়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফায়দা আদায়। জায়গাজমির কাগজপত্র বিভিন্ন ধরনের মামলা মোকদ্দমায় সমাধানের ফাঁদে ফেলে সাধারণ অসহায় মানুষের কাছ থেকে দালালি কমিশন আদায় করায় তার ধারাবাহিক রুটিন পেশা। তার ফাঁদে হয়রানি ভোগান্তি ক্ষয়ক্ষতির শিকার ভুক্তভোগী অনেকেই এলাকাবাসীর দাবি।
গত ২৫ জুলাই কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল আদালত নং-৪ একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন মামলা নং- ৩১২/২৪। এ মামলায় শামসুল সহ ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে এলাকার মাতবরদের সাথে আলাপ করেও কোন ফল না পাওয়ায় আইনের আশ্রয় নিয়েছেন ভুক্তভোগী। চিকিৎসা ও দেশের কারফিউ জারি জরুরি অবস্থার কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়,রায়টুটি রাজি এলাকায় মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র শামসুল মিয়া (টিক্কা ষাড়ো) গ্রামের সরল মানুষের জমিজমা সংক্রান্ত মালিকানা সত্বেও আইনি জটিলতা সৃষ্টি করে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করে। পূর্ব পরিকল্পিত কৌশল নানা অযুহাতে হাতিয়ে নেয় দালালি কমিশনের টাকা।
তার দালালিকান্ডে তথ্য ফাঁস অসৎ মিথ্যা প্রপাকান্ডে ভুক্তভোগী আলমের প্রতিবাদের জেরে উল্টো অহেতুক মিথ্যা প্রপাকান্ড বানোয়াট গালগল্পে অপবাদে আত্মসম্মান হানী ও হেনস্থা করে। দালাল সামসুলের দ্বারা ভোগান্তি হয়রানি হুমকি দামকির একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকেই উল্টো প্রাণনাশের অপচেষ্টা। ঘটনাটি এলাকায় মানুষের মাঝে গুনঞ্জন ব্যপক সমালোচিত হয়েছে।
সম্প্রতি শামসুলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার পর এলাকার মানুষের মুখে বিভিন্ন অপকর্মের চিত্রকাহিনী মানুষের মুখেমুখে।মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে সকলের মাঝে। মামলার সূত্রে জানা যায়,কানলা এলাকার মরহুম হাজী আব্দুল মুমিনের পুত্র মো: আলমের সাথে গত ১৪ জুলাই সন্ধ্যার ৭টায় শামসুল রঙের হামলা ও লুটপাটের বিষয়টি এখন সমালোচিত ও চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতিতে অবতরণ ঘটেছে।
ঘটনা ক্রমে জানা যায়, গত ১৪ জুলাই সন্ধ্যায় মো: আলম নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে রাজি মরে যাওয়ার সাথে সাথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শামসুলের সন্ত্রাসী বাহিনী আলমের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে। নগদ ১ (এক লক্ষ) ৫৬ হাজার টাকা। একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল নিয়ে যায়।
এর পূর্ব শামসুলের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়াও তার নানা অনিয়ম কর্মকাণ্ডে কিনা থেকে শুরু করে জমির দালালি মিথ্যা মামলা তুচ্ছ বিষয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে ঝগড়া প্রাসাদ বিবাদ লাগিয়ে উভয় পক্ষ থেকে সুবিধা হাতিয়ে নেওয়াই তার পেশা এবং নেশা।
বাড়ি বিক্রেতার ভাই অন্যের বসতভিটায় আশ্রিত বসতাবিটাহীন কশেম (লাটু) মিয়াকে বাড়ি কিনে দেওয়ার কথা বলে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় সামছুল। পরবর্তীতে শামসুলের কমিশনের ফাঁদে অন্য জায়গায় টাকা বেশি পেয়ে লাটু মিয়াকে বাড়ি না দিয়েই আরেকজনকে উক্ত বাড়িতে দিয়ে দেয়। নিজেদের বাপ দাদার উত্তরসূরী ভিটা ও ক্রয়কৃত বাড়ি অন্য ভিন্নগুষ্টির কাছে দালাল শামসুল বিক্রি করে। বাড়ির শোকে কাশেম বাড়িতে না থাকায় তার স্ত্রী তার ছেলের কান্নার আর্তনাদ হাজারীতে যেন আকাশ বাতাস ভারী করে তুলে। স্থানীয় অপশক্তির সুকৌলের ফাঁদে সমাধানে দাবিতে ক্রয়কৃত বাড়ি ফিরে পেতে সুবিচারে ঘুরছে দ্বারে দ্বারে। কিছু নীতিহীন বিবেকবৃত মানুষের ফাঁদে।
অন্যদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ী দিলিপের কাছ থেকে দীর্ঘ ৮ বছর হতে চলেছে জায়গা জমির কাগজের ঝামেলা সমাধানের কথা বলে একাধিকবার বিভিন্ন তালবাহানায় নানা অজুহাতে হিসেবে হিসাবে বহু টাকা হাতিয়ে নেয় দালাল শামসুল। তিনি বলেন, দালালি করেই তার দিন চলে। শুধু আমার নয়, এরকম অনেকের কাছ থেকেই সে হাতিয়ে নেয় কমিশন। নানা অজুহাতে দালালি টাকা আদায় করে। কথা কাজে মিল নেই তার মিথ্যা বানোয়াটির ফলে ভোগান্তি হয়রানি শিকার হয় পদেপদে। এলাকার উজ্জ্বল, নাজমুল, শফিকুল, ভিন্ন এলাকার সাদেকসহ তার হীনকান্ডে অনেকেই তার বিরুদ্ধে সত্য প্রকাশ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
দালাল শামসুলের দালালি কমিশনের ফাঁদে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতিসহ ভোগান্তি হয়রানি শিকার গ্রামবাসী অনেকেই। কারো ব্যাক্তিগত পারিবারিক সামাজিক দন্দ বিবাদ কিংবা বিষয় সম্পত্তি সংক্রান্তে গ্রামের যেকোনো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিচার নালিশের নামে আইনী সমাধানের নামে হাতিয়ে নেয় কমিশন। কিন্তু বাস্তবতায় নেই প্রতিশ্রুতির ছিটেফোঁটাও। ভোক্তভোগীদের মামলায় জটিলতায় ফাঁদে ফেলে সেবার বিপরীতে সেবা কান্ডের নামে নানা অপকর্ম অপকাণ্ডে জর্জরিত ভুক্তভোগী ও আরো অনেকেই। সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে আসে। ভুক্তভোগীরা ও এলাকার সাধারণ মানুষ অভিযুক্ত সামসুলের বিরুদ্ধে তার অনিয়ম দালালি কমিশন নানা অঘটনের শিকার অনেকেই। এসব অভিযুক্ত বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগে আইনি জটিলতা ও সিন্ডিকেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অসৎ অপক্ষমতাধরদের ছত্রছায়ায় তার বিরুদ্ধে কথা বললেও কোন সমাধান না পাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ও নিরাপত্তাঝুঁকিতে ভুক্তভোগী অনেকেই।
বিশেষ উল্লেখ্য, তথ্য অনুসন্ধানে যারা যায়,জামির কাগজ খরচের নামে সরকারি সেবা অফিসের দালাল সামছুলের নিজ পটেক। সাধারণ মানুষকে জমির বেদখল একজনের জমি বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে উপরি দালালি কমিশনের ফাঁদে। মালিকানা কাগজে জটিলতা নানা অজুহাতে ভুক্তভোগীদের সিন্ডিকেট দ্বারা সুকৌশলে ভোগান্তি হয়রানি শিকার অনেকেই। এসব অনিয়ম এখন নিত্যদিনের ঘটনা। বিচারের দাবি উঠেছে ভুক্তভুগী ও এলাকাবাসীর।
সিকি দালাল একজনের মুখোশ উন্মোচন হলেও এমন অগনিত শামসুল রয়ে গেছে ঘরে ঘরে গ্রামে গ্রামে। যারা ধরাছোয়ার আড়ালে নাগালের বাইরে। আতি পাতি সিটকে সিকি নেতাদের দৃশ্য অদৃশ্য অপক্ষমতার ছত্রছায়ায় হাতের বড়শি বা শিকারের আধার হিসেবে ব্যবহারিত হয় এসব লাঠিয়ালরা। এর নেপথ্যে রয়েছে অপ ক্ষমতাধর গ্রামের মোড়ল নীতিনির্ধারকেরা কথিত ছদ্মবেশী ভদ্রবেশীরা অপকর্মে জড়িত অপক্ষমতাধর সিন্ডিকেট চক্র।
অপক্ষমতাভোগী সুবিধাভোগী, দলকানা চাটুকারী নয়। বস্তুনিষ্ঠ তদন্তে কাজে ও সত্য বাস্তবচিত্রে হোক ঘটনার পেছনে অঘটনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। পরিস্থিতির শিকার ভুক্তভোগীদের নিরাপদ আশ্রয় ও ন্যায়বিচার। ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনতা ও সচেতন মহল সকলের প্রত্যাশা।