ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় এ বছর পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা

Uncategorized অর্থনীতি খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বানিজ্য বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি :  ফরিদপুরে চরভদ্রাসন উপজেলায় এ বছর পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় এবার পাটের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমেছে। পাট চাষে আশাতীত দাম না পাওয়ায় এ বছর পাটের আবাদ কম হয়েছে বলে জানান কৃষকরা। সোনালি আঁশের সুদিন ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন পাটচাষিরা।


বিজ্ঞাপন

চরভদ্রাসন কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১২০০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৯২০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৮০ হেক্টর জমিতে পাট চাষাবাদ কম হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

উপজেলার পাটচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাট চাষের জমি তৈরি থেকে শুরু করে বীজ বপন, কাটা, জাগ দেওয়া এরপর আঁশ ছাড়ানো এবং পাট শুকানোর পর বাজারজাতকরণ পর্যন্ত বিঘাপ্রতি প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু সেই তুলনায় পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় দিনকে দিন পাট আবাদে কৃষকদের অনাগ্রহ বাড়ছে। এছাড়া, পাট পচানো নিয়ে নানা বিড়ম্বনার কারণেও পাটের আবাদ কমিয়ে দিয়েছেন এ অঞ্চলের চাষিরা। সার, ডিজেল ও কীটনাশকের দাম কমানোর পাশাপাশি পাটের ন্যায্যমূল্যের দাবি জানান তারা।

বর্তমানে উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় পাট কাটা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই অতিরিক্ত খরায় অধিকাংশ জমির পাট রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাছাড়া পানির অভাবে বর্তমানে পাট জাগ দিতে পারছেন না অনেক কৃষক। সময় মতো পাট কাটতে না পারায় পাটগাছ জমিতেই মরে যাচ্ছে। কিছু জায়গায় পাট কেটে পানির অভাবে জমি ও রাস্তার ধারে ফেলে রাখা হচ্ছে। ফলে সময় মতো পাট থেকে আঁশ ছাড়াতে না পারায় ঋণ পরিশোধের দুশ্চিন্তায় দিশেহারা অনেক কৃষক।

চরভদ্রাসন উপজেলার কৃষি অফিসার বলেন, এ বছর বিকল্প পদ্ধতিতে পাটের আঁশ ছাড়ানোর পদ্ধতি বের করা হচ্ছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *