সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির ৪ নেতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ জমা পড়েছে দলীয় চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের দপ্তরে। এলাকার একজন সচেতন নাগরিক লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন যে, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক সৈয়দ ইফতেখারের নেতৃত্বে বিএনপির জেলার সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান হবি ও তার আপন ভাই আব্দুর রউফ ও আব্দুস সবুর এর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ভোমরা পোর্ট দখল, সিএন্ড এফ অফিস দখল, থানা লুট, বাস টার্মিনাল দখল, ইটের ভাটা দখল, ঘের দখল, হিন্দুদের ঘের দখল ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।
সর্বশেষ সাবেক এমপি রবি, ওসি মোস্তাফিজুর সহ বেশ কিছু আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে আদালতে মামলা করার আর্জি জমা দেন মানিক এবং সেটা ঢালাওভাবে প্রচার করেন । পরে এমপি রবি, ওসি মোস্তাফজুর রহমান সহ ১৫ জনের কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা নিয়ে তাদের নাম মামলার এজাহার থেকে বাদ দিয়েছেন।
এভাবে সাতক্ষীরা জেলার প্রায় সব উপজেলায় ইফতেখার ও হবির পরামর্শে যুবদল, ছাত্রদল ও দলের অন্যান্যরা মামলা ও হামলার ভয় দেখিয়ে অনেকের নিকট হতে অর্থ আদায় করছে এবং সে অর্থ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ভাগাভাগে করে নিয়েছেন ।
বিএনপি নেতা ইফতেখারের পরামর্শে হাবিবুর রহমান হবি ও তার ভাই রউফ,সবুর, মানিক, ও যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল আলিম এবং তার ছেলে মামলা ও দখল বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন। মানুষের ঘর-বাড়ি লুটতরাজ, ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয়ার মত জঘন্য কাজ করে তারা জেলাবাসীর কাছে বিএনপিকে কলংকিত করে চলেছেন। ফলে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির ভাবমুর্তি তলানীতে নেমে এসেছে।
বিষয়টি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানানো হয়েছে। দখল বাণিজ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে জেলার সমন্বয়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান হবির পরিবার। হবির মেঝো ভাই আব্দুর রউফ বিএনপি হতে বহিস্কৃত আর বড ভাই আব্দুস সবুর ও তার ছেলে আওয়ামী লীগার। হাবিবুর রহমান ভোমরা পোট হতে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা আদায় করে জেলার আহবায়ক ইফতেখারের সাথে ভাগাভাগি করে নেন বলে প্রচার আছে।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ৪ নেতার ২ নেতা এ সব ঘটনার সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন। অপর ২ নেতার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, এসব নেতার অতিলোভ ও প্রতিহিংসার কারণে সাতক্ষীরায় বিএনপির মহাসর্বনাশ হয়েগেছে। অন্যদিকে জেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জামায়াত নেতারা হামলা, মামলা না করে দল গোছানোর কাজে মনোনিবেশ করেছেন ।