পিএস পদ-পদবী যেন আলাদীনের চেরাগ  : অনেক দুর্নীতিবাজ ও প্রভাবশালী কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে বর্তমান উপদেষ্টাদের একান্ত সচিব পদ বাগিয়ে নিয়েছেন

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী রাজনীতি সারাদেশ

ঘুরেফিরে আওয়ামী লীগের আস্থাভাজনদেরকেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।প্রশাসনে পতিত শেখ হাসিনা সরকারে পছন্দের সাবেক মন্ত্রী-পদমর্যাদার উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) দলবাজ আমলারা আবারো প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও উপদেষ্টার একান্ত সচিব (পিএস) এখনো বহাল তবিয়তে।অনেক দুর্নীতিবাজ ও প্রভাবশালী কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে বর্তমান উপদেষ্টাদের একান্ত সচিব (পিএস) পদে বাগিয়ে নিয়েছেন। এদের মধ্যে মির্জা আজমের-মশিউর রহমান রাঙ্গা-প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভুট্রাচার্জের এবং মন্ত্রী তাজুল ইসলামের একান্ত সচিব আবারো স্থানীয় সরকার ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পিএস হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। গত ২ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সাবেক ইউএনও মিজানুর রহমান (বর্তমান প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কর্মরত)। তার বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ তিনি এখন উপদেষ্টার কাযালয়ে অফিস করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের এক মাস পূর্ন হচ্ছে আজ রোববার। কিন্তু প্রশাসন এখনো দুর্বৃত্তায়নের খোলসমুক্ত হতে পারেনি। পতিত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের দোসরদের বেশির ভাগ বহাল-তবিয়তে বসে থাকায় সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। এর পর থেকেই দেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে শুরু হয় বদলি-অপসারণ।


বিজ্ঞাপন

কিন্তু ঘুরেফিরে আওয়ামী লীগের আস্থাভাজনদেরকেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।প্রশাসনে পতিত শেখ হাসিনা সরকারে পছন্দের সাবেক মন্ত্রী-পদমর্যাদার উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) দলবাজ আমলারা আবারো প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও উপদেষ্টার একান্ত সচিব (পিএস) এখনো বহাল তবিয়তে।অনেক দুর্নীতিবাজ ও প্রভাবশালী কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে বর্তমান উপদেষ্টাদের একান্ত সচিব (পিএস) পদে বাগিয়ে নিয়েছেন। এদের মধ্যে মির্জা আজমের-মশিউর রহমান রাঙ্গা-প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভুট্রাচার্জের এবং মন্ত্রী তাজুল ইসলামের একান্ত সচিব আবারো স্থানীয় সরকার ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পিএস হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। গত ২ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সাবেক ইউএনও মিজানুর রহমান (বর্তমান প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কর্মরত)। তার বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ তিনি এখন উপদেষ্টার কাযালয়ে অফিস করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

নারায়নগঞ্জে সাবেক ডিসি আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান বর্তমান পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ পোয়েছেন। তিনি এর আগে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও সাজ্জাদ হোসেসেন পিএস এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বঙ্গভবন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ও প্রাইজপোস্টিংয়ে থাকা কর্মকর্তাদের এ সপ্তাহের মধ্যে সরাতে হবে।

তা না হলে বেশির ভাগ কর্মকর্তা কাজ করবে না। প্রয়োজনে সাধারণ কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। কেউ কেউ বলেন, আওয়ামী দোসরা এখনো সঠিকভাবে আর অফিস করছেন না। তাদের নেত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ফলে তাদের আর এক মুহূর্ত চেয়ারে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। সংক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের একটি অংশ অফিসার্স ক্লাবে বৈঠক করেন। পতিত শেখ হাসিনার সরকার পরিচালনার ১৫ বছরে যোগ্য ও মেধাবী কর্মকর্তাদের সরকার বিরোধী রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে অনেকের পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়। কাউকে কাউকে শাস্তিমূলক হিসেবে ডাম্পিং পোস্টিং এবং বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতীকালিন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই জনপ্রশাসন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। অতি উৎসাহী হয়ে যেসব কর্মকর্তা যোগ্যদের বঞ্চিত করেছিলেন এমন কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ওএসডি, বাধ্যতামূলক অবসর ও প্রত্যাহার করা হয়। তবে গুটি কয়েক শীর্ষ আমলাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি), বাধ্যতামূলক অবসর কিংবা বিগত সরকারের চুক্তিতে থাকা শীর্ষ কর্তাদের নিয়োগ বাতিল যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিগত সরকারের আমলে বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তারা। কোটা সংস্কার ইস্যু ছাত্র জনতার ডাকা একদফা আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে অবস্থান করছেন।

এরপর ৬ আগস্ট সংসদ বিলুপ্ত করেন প্রেসিডেন্ট। এর মাধ্যমে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদে শপথ নেয়া এমপিদের আসন শূন্য হয়ে যায়। গত আগস্ট মাসের ৮ তারিখে বর্তমান অন্তবর্তীকালিন সরকার শপথ অনুষ্ঠানের পর মন্ত্রণালয় বন্টনের মাধ্যমে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়। টানা ১৫ বছরে প্রজাতন্ত্রের আমলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে বঞ্চনার শিকার মানুষের নায্যাতা ফিরে পেতে সোচ্চার হয়ে রাজপথে নামেন। সবচেয়ে বেশি বিব্রত হন আনসার সদস্যদের দাবিকে কেন্দ্র করে নাশকতা তৈরির পরিকল্পনা ইস্যুতে। তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার মধ্যে সরকারের ভিত্তি তৈরি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, তাকে উপসচিব পদে চার দফায় পদোন্নতি বঞ্চিত করেছেন তারই কিছু ব্যাচমেট। এদের অনেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এখনো বহালতবিয়তে বসে আছেন। ওদের ক্ষমা নেই। যেখানে পাব সেখানেই ধরব। কারণ তারা আমার চোখের সব পানি কেড়ে নিয়েছেন। আমি এখন কাঁদতেও ভুলে গেছি। এত কেঁদেছি যে, আমার চোখে আর কোনো পানি নেই। লজ্জায় সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানে যেতে পারিনি। সবাই ভেবেছেন, আমি অযোগ্য। তাই আমার পদোন্নতি হচ্ছে না।

বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করে আসছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। যার নেতৃত্বে রয়েছেন ১৭ ব্যাচের শায়লা ফারজানা। যিনি বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া পুলিশের অতিরিক্ত আইজি এবং পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলামের স্ত্রী। বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা যাকে সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দপ্তর থেকে বের করে দিয়েছেন। কিন্তু বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কে তার নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব এখনো বহাল আছে। এখানে তার অন্যতম সহযোগী হিসাবে আছেন উম্মে সালমা তানজিয়া ও শেখ মোমেনা মনি। প্রায় সাড়ে পাঁচশত নারী কর্মকর্তার এই গ্রুপের এডমিন ৯ জনের হাতে জিম্মি।

সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে এরা গ্রুপে পোস্ট দেওয়া ব্লক করে রাখেন। এখনো ব্লক আছে। বিগত সরকারের সচিবরা এখনো কিভাবে চেয়ারে বহাল আছেন-এটা তারা কোনোভাবে মানতে পারছেন না। কোথায় মন্ত্রীদের পিএসরা। তাদেরও ধরতে হবে। ১৬ বছর ধরে যারা রামরাজত্ব কায়েম করেছিলেন। ডিসি, বিভাগীয় কমিশনারদেরও ছাড়া যাবে না। এরা এক একটা টাকার কুমির। সবকটি দুর্নীতিবাজ। বেশির ভাগ ডিসি পোস্টিং নিয়েছেন টাকা দিয়ে। অনেকে মন্ত্রীর পিএস থাকা অবস্থায় পুরস্কার হিসাবে ডিসি হয়েছেন। এছাড়া বিগত সরকারের সময় ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের সময় যারা নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন তাদের কাউকে ছাড়া যাবে না। জনগণের বড় আমানত ভোট চুরির দায়ে প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। রাজউক, সিটি করপোরেশন, ওয়াসাসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে পোস্টিং পাওয়া দলবাজদের ধরতে হবে। প্রশাসনের ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম ছয় বছরের বেশি সময় কিভাবে রাজউকে প্রাইজপোস্টিং নিয়ে চাকরি করলেন, কারা তাকে এতদিন সেখানে বসিয়ে ঘুসের ভাগ নিয়েছেন তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ১৬ বছরে জেলা প্রশাসক নিয়োগের প্রধান যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে প্রার্থীর রাজনৈতিক মতাদর্শ। ছাত্রজীবনে যারা ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন তাদেরকেই জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হয়েছে। প্রার্থীদের রাজনৈতিক মতাদর্শ কয়েক স্তরে তদন্ত করা হয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী-পদমর্যাদার উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব (পিএস) দলবাজ আমলারা আবারো প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টার একান্ত সচিব (পিএস) পদে নিয়োগ পেয়েছেন। আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সেই কর্মকর্তাও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পিএস হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে।ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দুর্নীতিগ্রস্ত কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের নেতার। প্রশাসন ক্যাডারের উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাধারণত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের পিএস পদে পদায়ন করা হয়। আগে পিএস ও এপিএস উভয় পদেই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পছন্দের লোক দেওয়া হতো।

২০১৮ সালের পর থেকে পিএস পদে পদায়নে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে এ ক্ষেত্রে উপদেষ্টাদের পছন্দ সুযোগ কাজে লাগিয়ে রয়েছে।

এদিকে মাঠ প্রশাসনসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকালে এই কর্মকর্তা ব্যাপকভাবে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বহু অভিযোগ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এসকল দুর্নীতি তদন্তের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি পাঠায়। তদন্তও হয় তার বিরুদ্ধে আসা কয়েকটি অভিযোগের। কিন্তু শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিরুপ প্রতিবেদন কোন তদন্ত কর্মকর্তাই দিতে সাহস পাননি। প্রশাসন ক্যাডারের ৫০জন কর্মকর্তার দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।

তাদের একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জমা পড়েছে। এদিকে প্রশাসনে ৫০ কর্মকর্তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য খতিয়ে দেখছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার করেছেন। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাই সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। সরকারের একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ কর্মকর্তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের খোঁজ নিয়ে তাদের নামে-বেনামে অস্বাভাবিক সম্পদ পেয়েছে, যা তাদের বৈধ আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। তালিকায় থাকা কর্মকর্তারা হলেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সাবেক ইউএনও মিজানুর রহমান (বর্তমান প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কর্মরত), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোত্তাকাব্বের, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর পিএস সানোয়ার হোসেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মশিউর রহমান, বগুড়ার সাবেক ডিসি সাইফুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব জিয়াউল হক, পাবনা ও নারায়ণগঞ্জের সাবেক ডিসি মো. জসীমউদ্দিন, কুমিল্লার সাবেক ডিসি মুশফিকুর রহমান, দিনাজপুরের সাবেক ডিসি আবুল ফাতেহ মো. শফিকুল ইসলাম। মুন্সীগঞ্জ ও খুলনার সাবেক ডিসি মনিরুজ্জমান তালুকদার, কক্সবাজারের সাবেক ডিসি শাহীন ইমরান, খুলনার সাবেক ডিসি ইয়াছির আরেফিন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সেলিনা পারভেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক ডিসি হায়াতউদ্দৌল্লা খান (বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি শাখার পরিচালক), বাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক ডিসি শাহগীর আলম, দিনাজপুরের সাবেক ডিসি মাহমুদুল আলম, ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক ডিসি ডা. কামরুজ্জামান সেলিম, গাজীপুরের শ্রীপুরের সাবেক এসিল্যান্ড উজ্জল কুমার হালদার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব আবুল ফজলমীর।

টাঙ্গাইলের সাবেক ডিসি জমীম উদ্দিন হায়দার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (পুলিশ) ধনঞ্জয় কুমার দাস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এপিএস-১ কাজী নিশাত রসুল, ঢাকার সাবেক ডিসি শহীদুল ইসলাম, চট্টগ্রামের সাবেক ডিসি ইলিয়াস হোসেন।

ঢাকা ও চট্টগ্রামের সাবেক ডিসি মমিনুর রহমান, যশোরের সাবেক ডিসি তমিজুল ইসলাম খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের পিএস রেজাউল ইসলাম, কক্সবাজারের সাবেক ডিসি কামাল হোসেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব গুলশান আরা, কুমিল্লা ও কুষ্টিয়ার সাবেক ডিসি শামীমুর রহমান, রাজশাহীর সাবেক ডিসি আব্দুল জলিল, পাবনার ডিসি মো. আসাদুজ্জামান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মঞ্জুরুল হাফিজ, নেত্রকোনার সাবেক ডিসি আব্দুর রহমান (বর্তমানে যুগ্মসচিব), ময়মনসিংহের সাবেক ডিসি মিজানুর রহমান (বর্তমানে যুগ্মসচিব), কুমিল্লার সাবেক এলএও মশিউর রহমান, ঢাকার সাবেক এলএও আব্দুল কাদের, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মসচিব জাহির হোসেন, গাজীপুরের সাবেক এডিসি মাহমুদ হাসান, কক্সবাজারের সাবেক ডিসি মামুনুর রশীদ, ফরিদপুরের সাবেক ডিসি অতুল চন্দ্র বিশ্বাস, নরসিংদীর সাবেক ডিসি সৈয়দ ফারহানা কাউনাইন, যুগ্মসচিব (বিদ্যুৎ) নুরুল ইসলাম, চট্টগ্রামের সাবেক এডিএম বদিউল আলম পাভেল, নরসিংদীর ডিসি শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রামের ডিসি মো. বাদল।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *