নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০ গুণী ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে এবার একুশে পদক দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির হাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এ বেসামরিক পদক তুলে দেন।
বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই বেসরকারি সম্মাননা পদকপ্রাপ্তদের হাতে তুলে দেন তিনি।
এবার যারা একুশে পদক পেলেন: ভাষা আন্দোলনে আমিনুল ইসলাম বাদশা (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) বেগম ডালিয়া নওশিন, শঙ্কর রায় ও মিতা হক, শিল্পকলায় (নৃত্য) মো. গোলাম মোস্তফা খান, শিল্পকলায় (অভিনয়) এম এম মহসীন, শিল্পকলায় (চারুকলা) অধ্যাপক শিল্পী ড. ফরিদা জামান, মুক্তিযুদ্ধে হাজি আক্তার সরদার (মরণোত্তর), আব্দুল জব্বার (মরণোত্তর), ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় জাফর ওয়াজেদ (আলী ওয়াজেদ জাফর), গবেষণায় ড. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ কারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ, শিায় অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, অর্থনীতিতে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, সমাজসেবায় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ভাষা ও সাহিত্যে ড. নুরুন নবী, সিকদার আমিনুল হক (মরণোত্তর) ও বেগম নাজমুন নেসা পিয়ারি এবং চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার।
এ ছাড়া ‘গবেষণা’য় একুশে পদক পেয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে সরকার প্রতি বছরের মতো এবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, পুরস্কারের অর্থ এবং একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়েছে।