নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই শিশু শিক্ষার্থীকে বলৎকারের মামলায় নাজির হোসেন (২৮) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষ কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাজির সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের কাউকান্দি গ্রামের এরশাদ মিয়ার ছেলে। উপজেলার লামাকাটা জঙ্গলবাড়ি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন নাজির।
দুই শিশু শিক্ষার্থীকে বলৎকারের ঘটনায় শনিবার উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তগ্রাম লামাকাটা গ্রামের এক ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপুর্বে শনিবার সকালে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক নাজির হোসেনকে থানার টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের অফিসার গ্রেফতার করেন ওই মাদ্রসা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
মামলার এজাহার ও বাদীর সুত্রে জানা যায়, উপজেলার লামাকাটা গ্রামের ১০ ও ১১ বছর বয়সী দুই শিশুকে দ্বীনি শিক্ষার জন্য একই এলাকায় লামাকাটা-জঙ্গলবাড়ি একটি মাদ্রসায় ভর্তি করা হয় অন্য শিশুদের ন্যায়।
মাদ্রাসা শিক্ষক নাজির হোসেন গেল ২৩ অক্টোবর রাতে প্রথমে ১০ বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থীকে ভয় ভীতি দেখিয়ে বলৎকার করেন। এরপর বিভিন্ন সময় রাতে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে বলৎকার করতে থাকেন। এক পর্যায়ে একই গ্রামের অপর এক ১১ বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থীকে একই কায়দায় ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাতে মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে ডেকে নিয়ে জোর পুর্বক বলৎকার করেন গুণধর শিক্ষক নাজির।
বিষয়টি ওই রাতে শিশু শিক্ষার্থী তার পিতাকে অবগত করেন। এরপর এলাকার লোকজন নিয়ে এসে মাদ্রাসা শিক্ষক নাজিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনাটি ভুল হয়েছে স্বীকার করলে এলাকাবাসী থানা পুলিশকে অবগত করেন।
তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভিকটিম শিশু শিক্ষার্থীার পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এরপর ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে শনিবার সন্ধায় তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।।