সিলেট বিভাগীয় কশিনার আবু আহমদ সিদ্দীকী (এনডিসি)।
বিশেষ প্রতিবেদক : রাষ্ট্রীয় সম্পদ যারা চুরি করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বালি মহাল লিজে (ইজারা চুক্তিতে) বলা আছে বালি উক্তোলনে ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করা যাবে না। যারা ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করবে,তাদের শুধু লিজ (ইজারা) বাতিল নয়, তাদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল ওপেন্সে মামলা হবে।
খনিজ বালি পাথর সমৃদ্ধ সীমান্ত নদী জাদুকাটা, ধোপাজান চলতি নদী সহ যে কোন নদীতে খনিজ বালি,পাথর বা মাঠি উক্তোলন কাজে ড্রেজার ব্যবহার করা মাত্রই পরিবেশধ্বংসী সকল ড্রেজার মেশিন জব্দ করে ধ্বংস করতে হবে। সনাতন পদ্ধতিতে বালু তোলার বিষয়েও আমরা চিন্তা করবো।
রাষ্ট্রীয় সম্পদ খনিজ বালি পাথর সমৃদ্ধ সীমান্ত নদী ধোপাজান চলতি নদী ও জাদুকাটা নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধে অংশীজনের উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সিলেট বিভাগীয় কশিনার আবু আহমদ সিদ্দীকী (এনডিসি) সোমবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছন রাজা মিলনায়তনে উপরোক্ত কথা গুলো বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, খনিজ বালি-পাথর, সৌন্দর্য, প্রকৃতি এসব রাষ্ট্রীয় সম্পদ। রাষ্ট্রীয় সম্পদকে যারা লুন্ঠন করে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের একসাথে লড়তে হবে। এরা কিন্তু শক্তিশালী এবং ভয়ংকর হিংশ্র। ফেরোসাস ভূমিখেকো, পাহাড়খেকো, বালুখেকোদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে না পারলে তাদের দমন করা যাবে না। এরা লিজ (ইজারা নেয় এক জায়গা, পরবর্তিতে আশেপাশের সকল জায়গা দখল করে চুরি কওে খনিজ বালু-পাথর উত্তোলন করে। এদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সবাই সোচ্চার হলে এটা বন্ধ হবে।
সাধারন শ্রমিকরা নয়, যারা ড্রেজার মেশিন নদীতে লাগিয়ে খনিজ বালু পাথর চুরি করে সেইসব ড্রেজার মালিক ও ব্যবসায়ীদের ধরতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারন বারকি বা নৌযান শ্রমিকদের উপর মামলা দিয়ে কোন ফায়দা নাই। তিনি বলেন, সমাজে একজন লোক হঠাৎ করে কোটি টাকার মালিক হলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আমরা এগুলো বন্ধ করতে চাই। সবার সহযোগিতায় ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের জানতে হবে নদী গুলোতে আদৌ বালু আছে কি না। কারণ এখান থেকে সরকার টাকা (রাজস্ব) পাচ্ছেন। যদি লিজ (ইজারা) না দেই, তাহলে সরকার জিজ্ঞেস করতে পারেন তুমি লিজ দিলে না কেন। যদি বালু না থাকে, তাহলে আমরা কেন লিজ (ইজারা) দেব।
যেখানে ১০০ ফিট গভীর হয়ে গেছে, সেখানে তো আপনি কিছুই করতে পারবেন না। জাদুকাট, ধোপাজান চলতি নদী সহ যে সকল নদীতে বালু মহাল সৃজন হয়েছে এবং সেগুলোর অজুহাতে আশপাশ ধ্বংস করা হয়েছে, সেগুলো পরীক্ষা করে দেখতে হবে। বেলা, সাংবাদিক সহ যারা আমাদের বিষয়টি জানিয়েছেন, তাদের আমাদের স্যালুট। যারা দোষি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আমরা দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
তিনি বলেন, বালু না থাকলে আমরা বালু মহাল রাখবো না। এছাড়াও নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহের পথ সূগম করার, নাব্যতা রক্ষা করা, সাধারন শ্রমিকদের জীবন জীবিকার কথা চিন্তা করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় সীমান্তনদী জাদুকাটা , ধোপাজান চলতি নদী সহ জেলার সব কটি সীমান্ত নদী গুলোতে নদীর পাড় কাটা, সেইভ, ড্রেজার, বোমা মেশিনে খনিজ বালি পাথর উক্তোলন ও চুরি বন্ধে ২৮- বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি)’র সুনামগঞ্জ অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির,পুলিশ সুপার আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন খান,জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া তাদেও স্ব স্ব মতামত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।।