নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নান এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি সাবেক সাংসদ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আট সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট। জামিনের মেয়াদ শেষে তাদের জেলার স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীন। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
দুদকের আইনজীবী মনসুর উদ্দিন হাওয়লাদার বলেন, মঙ্গলবার আউয়াল ও তার স্ত্রী পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে আবার জামিন আবেদন করেন। বিচারক আব্দুল মান্নান আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের এ আদেশের পর আউয়াল সমর্থকরা শহরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এর আগে সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পুলিশ ও র্যাব।
গত ৩০ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক পরিচালক মো. আলী আকবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরিশালে তিনটি মামলা করেন। তার একটিতে আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীনকেও আসামি করা হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জেলার নাজিরপুর থানার সামনে ও উপজেলা সদরের ভূমি অফিসের পেছনের ১৩ শতাংশ সরকারি খাস জমি নিজের দখলে নেন। পরে সেখানে তিনি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অফিস হিসেবে ভাড়া দেন। এতে চুক্তি করেন এমপির স্ত্রী লায়লা পারভীন।
এ ঘটনার অনুসন্ধানের পর স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) (এসিল্যান্ড) দুদক কর্মকর্তাকে বলেছেন, তিনি ওই ছয় ব্যক্তির কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাননি। ঘটনাটিকে জালিয়াতি বলা হয়।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসা ছয় ব্যক্তির অস্তিত্ব না থাকলেও সাবেক এমপি আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীনের নামে বাড়ির বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সব ধরনের প্রমাণ পাওয়ার পর দুদক অনুসন্ধান শেষ করে মামলা করে।
আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর দুইবার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।