নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি মো: আখতারুজ্জামান কর্তৃক দাখিলকৃত পদত্যাগপত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতি গত ৭ সেপ্টেম্বর গ্রহণ করেছেন।

প্রসঙ্গক্রমে, সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল কর্তৃক অনুসন্ধান পরিচালনাধীন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আখতারুজ্জামান চলতি বছরের ৩১ আগস্ট, প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট নিজ স্বাক্ষরযুক্ত পদত্যাগপত্র প্রেরণ করেন।
বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে চলতি বছরের ২৩ মার্চ, মহামান্য রাষ্ট্রপতি সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিলকে নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে চলতি বছরের ২৫ জুন, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান এর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখা দিতে তাঁকে সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিলে তলব করা হয়।

চলতি বছরের ১ জুলাই, বিচারপতি আখতারুজ্জামান কাউন্সিলের সামনে হাজির হয়ে নিজের বিরূদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যাখ্যা প্রদান করেন।

এরপর সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল চলতি বছরের ২৬ আগস্ট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক মো: আখতারুজ্জামান এর বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানীর সমপন্ন হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতির বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি তাদের বেঞ্চ প্রদান হতে বিরত থাকেন। তাদের মধ্যে একজন বিচারপতি (শাহেদ নূরউদ্দিন) গত বছরের ৩০ জানুয়ারি, মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে নিজ স্বাক্ষরযুক্ত পত্রের মাধ্যমে পদত্যাগ করেন।
এছাড়া, দুইজন বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম এবং বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন) হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাননি। গত ৩১ জুলাই ২০২২ সালে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে তাঁরা নিয়োগ পেয়েছিলেন।
গত বছরের ৩০ জুলাই, তাদের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না দিয়ে আরও ছয় মাসের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি, তাদের সেই বর্ধিত মেয়াদও শেষ হয়।
এছাড়া, অপর দুইজন বিচারপতি মোঃ আতাউর রহমান খান এবং বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস) ইতোমধ্যে অবসর গ্রহণ করেছেন।এর মধ্যে বিচারপতি মোঃ আতাউর রহমান খান গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর, এবং বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি, তাঁদের চাকরিকালীন মেয়াদ পূর্ণ করে অবসরে যান।
এছাড়া, সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি দুইজন বিচারপতিকে অপসারণ করেন। এর মধ্যে বিচারপতি খিজির হায়াতকে চলতি বছরের ১৮ মার্চ, এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে চলতি বছরের ২১ মে, অপসারণ করা হয়।
সর্বশেষ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি আখতারুজ্জামান এর পদত্যাগ পত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন। এখন অপর চার(৪) বিচারপতির বিষয়ে বর্তমানে কাউন্সিলের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।