জুলাই আন্দোলন ও এনসিপির নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারক চক্রের ভয়ংকর ফাঁদ

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে পুঁজি করে একটি অসাধুচক্র দীর্ঘ ১৩ মাস যাবত দেশের বিভিন্ন স্থানে মব সৃষ্টি করে নানা অপকর্মের মাধ্যমে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে মানুষের কাছ থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

চক্রটি গত জুলাই আন্দোলনে নিজেদের সম্পৃক্ততার নানা ছবি সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করে সুযোগ নিচ্ছিল। যার কারনে তাদের হাতে নাজেহাল হয় দেশের অনেক নামিদামি ব্যক্তিগণ। ডেমরা এলাকায় এমন কয়েকজন প্রতারক ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে।

এসব ব্যক্তিগণ নিজেদের ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিয়ে গত ১৩ মাস দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার পাঁয়তারা চালিয়ে আসছিল। তাদের কারণে জুলাই আন্দোলন অনেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

এমনকি ছাত্র আন্দোলনের ফসল জুলাই আকাঙ্খার প্রতীক জাতীয় নাগরিক পার্টিকেও এদের কারণে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সাগির আহমেদ তুরান ও তার সহযোগী আজলান শাহ রাকিব,আবু সাঈদ রিফাত, সাইদুর রহমান সিফাত, আহমেদ তালুকদার বিজয় নামে ব্যাক্তগন।

এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অনেকটা সোচ্চার হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি যুগ্ম মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) এস এম শাহরিয়ার তার দেয়াএক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন, পাঠকদের জন্য বিষয়টি হুবহু তুলে ধরা হলো।

“জনস্বার্থে:ছবিতে সংযুক্ত ব্যক্তিদের জাতীয় নাগরিক পার্টি – এনসিপির সাথে কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই।

তারা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহবায়ক নাহিদ ইসলামের নাম ব্যবহার করছে। তারা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে চাঁদা আদায় করছে এবং নানাভাবে দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।

এমনকি তারা বিভিন্ন স্থানে প্রভাব খাটিয়ে লোকজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে এবং দলীয় নেতৃবৃন্দের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে।

প্রকৃতপক্ষে এইসব কর্মকাণ্ডের সাথে আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বা এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই।

এস এম শাহরিয়ার, জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি যুগ্ম মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল)”

গত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে অনেকে দুর্নীতির মাধ্যমে বহু অপকর্ম করেছেন, আবার অনেকে মান সম্মান বাঁচাতে পুলিশি হয়রানি সামাজিক মর্যাদা রক্ষা করতে আওয়ামী লীগের সাথে তাল মিলিয়ে চলেছে।

অনেকেই আওয়ামী লীগের সাথে তাল মিলিয়ে চললেও ভেতরে ভেতরে ছিল ঘোর ফ্যাসিষ্ট বিরোধী। জুলাই আন্দোলনে এসব ব্যক্তিদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে আন্দোলন সংগ্রাম সফল করতে।

সাগির আহমেদ তুরান ও তার সহযোগী আজলান শাহ রাকিব,আবু সাঈদ রিফাত, সাইদুর রহমান সিফাত, আহমেদ তালুকদার বিজয় নামে এসব ব্যক্তিগণ সেই সকল লোকজনকে নানাভাবে নাজেহাল করেছেন গত ১৩ মাস যাবত।

ভুক্তভোগীরা জানান, এরা একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র যাদের মূল কাজ হচ্ছে মব সৃষ্টি করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করা। এদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে এলাকাবাসী।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *