ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানাধীন রুপাপাত এলাকায় ক্লুলেস হত্যাকান্ডে জড়িত ভিকটিমের স্ত্রীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি  : গত ২০ আগস্ট  দুপুর আনুমানকি ২ টা ৩০ মিনিটের সময়  ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানাধীন রুপাপাত বাজারের পাশে মিজানুর মোল্যা (২৩) নামক এক ব্যক্তির মৃতদেহ দেখতে পেয়ে উক্ত এলাকার স্থানীয় লোকজন ভিকটিম মিজানের পরিবারের লোকজনদের সংবাদ দিলে ভিকটিমের বড়ভাই মোঃ আমিনুর মোল্যা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় ভিকটিম মিজানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত প্রাপ্ত ও রুক্তাক্ত অবস্থায় ভিকটিমের মৃতদেহ পরে আছে। উক্ত ঘটনার পর ভিকটিমের বড় ভাই মোঃ আমিনুর মোল্যা (৪২) তার পরিবারের লোকজনদের সাথে পরামর্শ করতঃ বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় ভিকটিম মিজান মোল্যা হত্যাকান্ডে জড়িত অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর-১৮, তারিখ-২২/০৮/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ দন্ড বিধি।


বিজ্ঞাপন

উল্লেখিত হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল উক্ত হত্যাকান্ডের সহস্য উদঘাটন ও হত্যাকান্ডে জড়িত সকল আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে।


বিজ্ঞাপন

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের উক্ত আভিযানিক দল বর্ণিত হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতঃ গতকাল ২৫ নভেম্বর  রাত আনুমানিক সাড়ে  ১৯ টায়  তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা এবং র‌্যাব-৩ এর সহযোগীতায় রাজধানীর পল্টন থানাধীন কালভার্ট এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচলনা করে ক্লুলেস মিজান মোল্যা হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী  ভিকটিমের সম্বন্ধী মোঃ আরবান মোল্যা @ ওমর ফারুক (২০), পিতা-মুজিবর মোল্যা’কে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত অপর দুই আসামী এবং  ভিকটিমের শাশুড়ী মোছাঃ রেখা বেগম (৫৫), স্বামী-মুজিবর মোল্যা ও ৩। ভিকটিমের স্ত্রী জয়নাব (১৮), পিতা-মুজবর মোল্যাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা গত ১৯ আগস্ট,  তাদের অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে পূর্বপরিকল্পিভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দ্বারা পিটিয়ে ভিকটিম মিজান মোল্যাকে নৃসংশভাবে হত্যা করে ভিটিমের লাশ বোয়ালমারী থানাধীন রুপাপাত বাজারের পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।

পরবর্তীতে আসামীরা মামলা রুজু ও তদন্তের বিষয়টি জানতে পেরে নিজেদের আইনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল।গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *