বিশেষ প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং জালিয়াত চক্রের মূলহোতা মো. সোহেল আহম্মেদকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে মিরপুরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে র্যাব-৩ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রকিবুল হাসান।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে মিরপুর-১ এর ১৯ নম্বর রোডের ৩৩ নাম্বার বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতা মো. সোহেল আহম্মেদকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সিম কার্ড ও মাল্টি সিম গেটওয়ে ডিভাইসসহ মোবাইল জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি সিগন্যাল বুস্টার, তিনটি মডেম, বিপুল পরিমাণ সিমকার্ড ও অন্যান্য সরঞ্জামা উদ্ধার করা হয়।
কীভাবে প্রতারণা করত তার বর্ণনা দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, কোনো গ্রাহক যদি মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন করত, তাহলে সেই নাম্বার ও তথ্য এজেন্টরা তাদেরকে জানিয়ে দিত। তখন তারা মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির নাম্বার ক্লোন করে সেন্ডার বা রিসিভার করে কল দিয়ে বলতো, আমি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অফিস থেকে বলছি, আপনি যেই টাকা পাঠিয়েছেন বা এসেছে, সেই টাকা ভুল নাম্বারে চলে গিয়েছে। এ সময় কৌশলে গ্রাহকদের বিভিন্ন কোড ডায়াল করতে বলত। অথবা তারা মেসেজ দিয়ে বিভিন্ন লিংক পাঠাতো। গ্রাহকরা সেই কোড বা লিংকে ক্লিক করলেই প্রতারক চক্র টাকা নিয়ে নিতে পারতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল র্যাবকে জানিয়েছেন, ২০১৭ সাল থেকে তিনি এ প্রতারণার কাজে জড়িত। প্রতারণার মাধ্যমে তিনি এখন পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব বলেছে, সোহেল তার চক্রের আরও ৪/৫ জনের নাম বলেছেন। তাদের নাম তদন্তের স্বার্থে এখন বলা যাবে না। আমরা অতি শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবো।
গ্রেপ্তোরকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।