সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবি

জাতীয় জীবন-যাপন রাজধানী

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন কর্তৃক প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ৭ দফা দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খায়ের আহ্মেদ মজুমদার। বক্তব্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
১৯৭৩ সালের বঙ্গবন্ধু ঘোষিত নবম পে-স্কেল প্রদান। সচিবালয়ের ন্যায় সমান পদমর্যাদা নির্ধারণকল্পে সচিবালয়ের বাইরে সকল দপ্তরের এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন। পেনশন গ্রাচুইটির হার ৯০ থেকে ১০০ ভাগ পেনশন গ্রাচুইটির হার ১ঃ৩৫০ টাকা হারে প্রদান। উন্নয়ন খাতের কর্মচারিদের যোগদানের তারিখ থেকে জ্যেষ্ঠতা প্রদানে মহামান্য হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রায় প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীদের জন্য দ্রুত বাস্তবায়ন। সিনিয়র সচিব ও সচিব পদে কর্মরতদের বাবুর্চি ও নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ ছাড়াই প্রতি মাসে তাঁদের নিজ বেতনের চেকেরে সাথে প্রদেয় ১৬,০০০+১৬,০০০=৩২,০০০ টাকা প্রদান না করে বেকারত্বের বিষয় বিবেচনা করে দুই জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে তাঁদের সেবা প্রদান। রাষ্ট্রের দাপ্তরিক কার্যক্রমের নিরাপত্তা ও গোপণীয়তার স্বার্থে আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ প্রথা বাতিল। কর্মরত অবস্থায় মারা গেলে ৮ লাখ টাকার পরিবর্তে ১৫ লাখ টাকায় উন্নীত এবং সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে ৩০ লাখ টাকা প্রদান করা সহ সিনিয়র স্টাফনার্সদের ন্যায় অন্যান্য সকল ডিপ্লোমাধারী ও বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পদধারীদের সমমান বেতন স্কেল ও গ্রেড প্রদান। প্রাথমিক শিক্ষা, বাংলাদেশ রেলওয়ে ন্যায় অন্যান্য সকল দপ্তরের সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে পোষ্য কোটা ৩০% সংরক্ষণ। প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীদের পোষ্যদের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ১০% কোটা সংরক্ষণ। এলজিইডি, গণপূর্ত, সমাজসেবা অধিদপ্তর, পরমাণু শক্তি কমিশন, আবহাওয়া অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সকল দপ্তর ও অধিদপ্তর কর্মরত মাস্টাররোল, ওয়ার্কচার্জ, কন্টিজেন্সিসহ সকল উন্নয়ন থাতের কর্মচারিদেরকে অনতিলম্বে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর। সকল পেশাজীবি সংগঠনের স্থায়ী কার্যালয়ের ন্যায় বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি কল্যাণ ফেডারেশনের স্থায়ী কার্যালয় স্থাপনের জন্য ঢাকাস্থ শেরেবাংলা নগরে জায়গা বরাদ্দ। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত আইএলও কনভেনশন মোতবেক কর্মচারীদের স্ব স্ব দপ্তরে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার। ঢাকাস্থ সরকারি কর্মচারি হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে রুপান্তর করা এবং দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল স্থাপন করার দাবী জানান। সংগঠনের সভাপতি মো. ওয়ারেছ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- মো. কায়সার হোসেন, মো. সেলিম রেজা, উপদেষ্টা মো. মিরাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. ইব্রাহিম মোল্লা, মো. আখতারুজ্জামান, ফরিদ আহমদ সরকার, আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুস সবুর তালুকদার প্রমুখ। দাবিসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ৩০ এপ্রিল প্রতিটি বিভাগীয় শহরে প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *