প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেইল সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক :ন রাজধানী ঢাকা মহাখালী অবৈধ ফিজিওথেরাপির আড়ালে প্রতারক স্বামী মোস্তফা সরদার তপন এর সহযোগিতায় দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে চট্টগ্রাম পটিয়ার মেয়ে সিত্তুল মুনা। বিত্তবান , রাজনৈতিক পরিচয় দানকারী , শিল্পপতি, ও কর্পোরেট ব্যক্তিত্বমনাদের টার্গেট করে তাদের নাগালে পৌঁছে দেন মোস্তফা।
চলনে বলনে অতি সুন্দরী দেখলে সাধারণের নজর কাড়ে।খুব তাড়াতাড়ি মানুষকে আকৃষ্ট করতে বেগ পেতে হয়না।তবে সুন্দর চেহারার ভেতর লুকিয়ে রয়েছে ভয়ঙ্কর এক দানব। মুনার ফাঁদে যারা ব্লাকমেইল এর শিকার ব্যক্তিরা সঠিক বর্ননা দিয়েছেন।আবার প্রেমের অভিনয় করে বিভিন্ন খদ্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুনা।
অবৈধ থেরাপির নামে দেহব্যবসাই প্রধান আয়ের উৎস।আবার সহজ- সরল লোকদেরকে কৌশলে ব্ল্যাকমেল করে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। এ প্রতারণার মাস্টার মাইন্ড মুনার প্রতারক স্বামী মোস্তফা সরদার তপন। দেহ ব্যবসার আড়ালে প্রেম ,পরিণয় আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতেও বাধ্য হয়। ফিজিওথেরাপির নামে প্রতারণা ,বিদেশে লোক পাঠানো চাকরি , মাদক ব্যবসা সবই চলে অন্তরালে।
বিভিন্ন খদ্দেরের নিকট বাইক চালক স্বামী মোস্তফা পৌঁছে দেয় মুনাকে। এ খবর চাউর হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবগত নয়। রাতের ঢাকায় এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরি করে।সিত্তুল মুনার চলাফেরায় পশ্চিমা সংস্কৃতিকেও হার মানায়। রাজধানী জুড়ে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও কতিপয় অসাধু লোভী নারীরা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছেন।
জানা গেছে চট্টগ্রামের পটিয়ার নূরল আফসারের বড় মেয়ে সিত্তুল মুনা ঢাকায় এসে আট- দশটা বিয়ের পিঁড়িতে বসে কোনটাই স্থায়ী হয়নি। শেষমেশ প্রতারক স্বামী মোস্তফা সরদার তপনের সাথে প্রতারণার জুটি বেঁধে সংসার করলেও বসবাস করছেন ডিভোর্সি স্বামীর ফ্লাটে। সাবেক স্বামীদের সঙ্গে ব্ল্যাকমেল করে সবাইকে তাড়িয়েছে।
এদিকে ফিজিওথেরাপিতে একাধিক পুরুষ ও নারী সদস্য রয়েছে। ওই নারীর সদস্যেদের দিয়ে দেহ ব্যবসায় জড়িত করতে বাধ্য করছেন সিত্তুল মুনা। নারী সদস্যের মধ্যে শাহনাজ পারভীন, ফেরদৌসী , লিমা ,ও মেরি বেগম। মধ্যবিত্ত খদ্দেরের জন্য এই নারী সদস্যদের কে পাঠানো হয়। বিত্তবান ও কর্পোরেট খাদ্দেরদের কাছে সিত্তুল মুনা নিজেই বিছানার সঙ্গী হন। একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে ভুক্তভোগীদের কে প্রাণে মারার হুমকি দেন প্রতারক মোস্তফা তপন।
উল্লেখ্য যে দালাল সাইদুল ও অনুজ দাশ বিভিন্ন খদ্দেরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে প্রতারক মোস্তফা সরদার তপন কে জানিয়ে দেয়। বাইক চালক মোস্তফা সরদার নিজেই খদ্দেরের বিছানায় পৌঁছে দেয়।