নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকা থেকে চুরি হওয়া মালামাল যাত্রাবাড়ী এলাকার কেরানীপাড়া পুরাতন মসজিদের সামনে প্যাকেজিং কারখানা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।গত ২৮ ডিসেম্বর কদমতলী থানা এলাকার জনতাবাগের একটি গোডাউন থেকে এসব মালামাল চুরি হয়। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ নাইম বাদী হয়ে কদমতলী থানায় একটি মামলা করেন। কদমতলী থানার মামলা নং-৬৬। মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এরা হচ্ছেন নাসির উদ্দিন (৪৩), মাহবুব আলম ভূঁইয়া (৪২), আরিফ হোসেন, সাজ্জাদুর রহমান, মোসাম্মৎ রোকেয়া সুলতানা বিথি (৩৫), মোফাজ্জল হোসেন (৫০), মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৫), মোঃ আমিনুল ইসলাম ।
মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ১লা ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানাধীন মাতুয়াইল কেরানি পাড়া পুরাতন মসজিদের সামনে আলী আজগর খানের বাড়ির রুবেল এর প্যাকেজিং কারখানা থেকে এই মালামাল উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মালামাল গুলোর মধ্যে ছিল মেডিকেল সার্জিক্যাল সামগ্রী । ঘটনাস্থলে কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আইয়ুব বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলেও জানা গেছে।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার ডিসি (ওয়ারি) হারুন অর রশিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন।গণমাধ্যমকে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, পুলিশ প্রতিটি ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে দেখে,২৮ ডিসেম্বর কদমতলী থানা এলাকায় যে চুরির ঘটনাটি ঘটে সেখানে মুল্যবান চিকিৎসা সামগ্রী বিশেষ করে সার্জিক্যাল আইটেম গোডাউনে রক্ষিত ছিল সেগুলো চারটি ট্রাকে করে মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়,এরই প্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষের অভিযোগ পেয়ে আমাদের টিমগুলো মাঠে নেমে অনুসন্ধান করে এবং তদন্ত টিম চোরাই মাল রাখার সুনির্দিষ্ট স্থান খুঁজে পায় এবং ট্রাক ভর্তি করে চোরাই মাল উদ্ধার করা হয়। তাদের খোয়া যাওয়া মালের ষ্টক ও উদ্ধার করা মালের সিজার লিষ্ট চেক করে দেখা হবে সব মাল উদ্ধার হয়েছে কিনা।
কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন,এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।