নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় আনোয়ার হোসেন (৫৫) নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে তার কাছে থাকা ‘২০০ ভরি স্বর্ণ এবং নগদ ১ লাখ টাকা’ ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে ওই ব্যবসায়ী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আতাউর রহমান আকন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে বনশ্রীর ডি ব্লকের সাত নম্বর রোডে টার্গেট করে আসা তিনটি মোটরসাইকেল স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পথরোধ করে। এরপর তিনটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে থাকা সোনা নিতে টানাহেঁচড়া করে। এক পর্যায়ে সোনা দিতে অপারগতা দেখালে ব্যবসায়ীকে টানাহেঁচড়া পরে গুলি করে। এরপর সোনা ও টাকা নিয়ে দুর্বৃত্তরা তিনটি মোটরসাইকেলে উঠে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামপুরা থানার ওসি মোহাম্মদ আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের বনশ্রীতে জুয়েলারির দোকান রয়েছে। তিনি দোকান বন্ধ করে একাই বাসায় ফিরছিলেন। এসময় পথিমধ্যে তিনটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা আনোয়ার হোসেনের পথরোধ করে। তাদের মধ্য থেকে লাল হেলমেট পরা এক ব্যক্তি ওই ব্যবসায়ীকে তিন রাউন্ড গুলি চালায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেনের দুই পায়ে দু’টি ও পিঠে একটি গুলি করছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যবসায়ীর বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘তার কাছে ছিল ২০০ ভরি সোনা এবং নগদ এক লাখ টাকা। গুলির পর সোনা এবং টাকা নিয়ে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।’
এ ঘটনার একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। ৩১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, তিনটি মোটরসাইকেলে ছিল মোট সাতজন। সবার মাথায় ছিল হেলমেট। স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ারের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে লাল হেলমেট পরিহিত একজন তাকে পিস্তল দিয়ে গুলি করে। গুলির পর দুর্বৃত্তদের বাকি সদস্যরা স্থান ত্যাগ করার পরামর্শ দেয়। এরপর তিনটি মোটরসাইকেলে সবাই একসঙ্গে চলে যায়। বাংলাদেশ পরিবেশ পরিক্রমা মানবাধিকার ও সাংবাদিক সোসাইটির একটি চৌকস টিম পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত করছেন। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংগঠনের চেয়ারম্যান আসলাম হোসেন।