ব্যাংক কর্মকর্তা অনুজ দাশ এর ভয়ঙ্কর ফাঁদে ঠিকাদার ফরিদুল আলম

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক কর্মকর্তা প্রতারণা করে ঠিকাদার ফরিদুল আলম কে ফাঁদে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কর্মকর্তার নাম অনুজ দাশ। গোপালগঞ্জ জেলার কোটলীপাড়ায় একটি ব্রাঞ্চে কর্মরত আছেন। নারী পরকীয়ার কারণে রাজধানী ঢাকাসহ চিটাগং শহরে তার আসা-যাওয়ার ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। পরকীয়ায় জড়িয়ে সে একাধিক মামলায় আসামিও হয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

আবার নারী পরকীয়ায় জড়িয়ে ব্যাঙ্কের টাকা দুর্নীতি করে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। প্রতারক চক্রের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে অপহরণ , প্রতারণা , সাইবার ট্রাইব্যুনালে একাধিক মামলার আসামি হয়েছেন এ বিতর্কিত কর্মকর্তা। রাজধানী ঢাকার মিরপুরে লিমা নামে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া করে লাখ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন উপহার দিয়েছেন ওই নারীকে। লিমা নামের ওই নারীকে তার ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্টে প্রথমে দুই লাখ ও বিকাশে ৪০ হাজার টাকা প্রদানসহ পরকীয়া নারীর পরিবারের সকল খরচ বহন করেন অনুজ দাশ। অনুসন্ধানে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে প্রতিবেদকের হাতে।


বিজ্ঞাপন

নতুন প্রতারণা তৈরির সুবাদে পরকিয়া প্রেমিকা লিমার কাছ থেকে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৬ শতাংশ অর্থাৎ তিন গণ্ডা জমি ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকায় বহায় মূল্যে দিয়ে সাব কবলা দলিল রেজিস্ট্রি করে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। তবে জমিদাতা লিমা গ্রহীতা অনুজ দাশ এর পরকীয়া প্রেমিক। ফরিদুল আলমকে হয়রানি করার জন্যে গত বছরের ২৫ এপ্রিল আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন জিডি নম্বর ২১৭৮ তারিখ ২৫-৪- ২০২৪ , যাতে ফরিদুল আলম এক নম্বর বিবাদী। প্রতারক অনুজ দাশ তার পরকীয়া প্রেমিকা লিমার যোগসাজশে ফরিদুল কে হয়রানির উদ্দেশ্যে নতুন প্রতারণার দ্বার উন্মোচন করেছেন। একজন ব্যাংক কর্মকর্তা জমি রেজিস্ট্রি করে তার আয়ের অসঙ্গতির এটি জ্বলন্ত প্রমাণ।এ সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের প্রধান অনুজ দাশ, মোস্তফা সরদার ,ও সাইদুল ছাড়াও রয়েছে একাধিক নারী সদস্য।


বিজ্ঞাপন

অনুজ দাশ এর ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে , ১ নং বিবাদী ফরিদুল আলম এর সাথে ইতোপূর্বে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সূত্র ধরে আশুলিয়া মৌজার ৩৪২৫৬ নং তৌজির অন্তর্গত হাল মালিক ববিচর আহমদ ও আফজাল মিয়া গংরা বিএস জরিপ চূড়ান্ত তাদের মৃত্যুতে ওয়ারিশ আফজাল মিয়া ও ফুল্লা বিবি রেজিস্ট্রিকৃত খরিদা ওয়ারিশ। ২ নং বিবাদী লিমা আক্তার তাদের নিকট থেকে খরিদা সূত্রে মালিক হন।

ওই জমি বিক্রি করার জন্য ১ নং বিবাদী ফরিদুল আলম বিক্রয় করার প্রস্তাব দিলে আমি অনুজ দাশ রাজি হয়ে ফরিদুল আলমের রাজিয়া ট্রেডার্স এর হিসাব নাম্বার ১৪০২৬৮৪৩৪০০০১ সিটি ব্যাংক পিএলসি ফরিদুল আলম পিএলসি ও হিসাব নম্বর ০০৫৭১২১০০০০৩২৮৭ সাউথ ইস্ট ব্যাংক পিএলসির মাধ্যমে ৭৫ লাখ টাকা এবং বাকি টাকা গত ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ফরিদুল আলম কে সাভার রেজিস্ট্রি অফিসে সাব কবলা দলিল করার সময় সর্ব মোট ২ কোটি চুরাশি লাখ টাকা বুঝিয়ে দিলে ২ নং বিবাদী লিমা আক্তার ৬ শতাংশ অর্থাৎ তিন গণ্ডা জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়। যার দলিল নম্বর ৭১৫ ক্রমিক নং ৭২৫ । পরবর্তীতে আমার জমির দখল নিতে গেলে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদান করে আসছেন।

এসব ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে ফরিদুল আলম গণমাধ্যম কে বলেন , মিরপুর আমিনার্স পাল বড়বাগের ৬২/৬৩ ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে মোস্তফা,অনুজ, সাইদুলসহ ১০/১৫ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে গত বছর ২ ডিসেম্বর আমাকে অপহরণ করে ইব্রাহিম পুর মাঠে নিয়ে যান। ওই দিন আমি অনুজ কে প্রথম দেখেছি। তবে আগে কখনও অনুজের সাথে দেখা হয়নি।তিনি আরও বলেন তার স্ত্রীর বান্ধবী লিমা।

ফরিদুল আলমের পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে একটি প্রতারক চক্র হয়রানি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।এ চক্রের বিরুদ্ধে অপহরণ, প্রতারণা, সাইবার ট্রাইব্যুনালে, হুমকি প্রদানের জন্য ১০৭ ধারার বিধান মতে সিএমএম আদালতে মামলা করেছি। লিমা অনুজের পরকিয়া প্রেমিক এ জন্য লিমা কে দিয়ে নাটক সাজানো হয়েছে। তাদের কোন কোন হোটেলে রাত কাটিয়েছেন তার যথেষ্ঠ ডকুমেন্ট আমার কাছে আছে। লিমার ডাচবাংলা ব্যাংক একাউন্ট ও বিকাশ স্টেটমেন্ট বের করলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *