নিজস্ব প্রতিবেদক ; বাংলাদেশ ব্যাংকস্ এমপ্লয়ীজ ফেডারেশনের গতকাল ১০ মার্চ সোমবার বিজয়নগরের শ্রম ভবনে শ্রম সংস্কার কমিশন বিষয়ক মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মো: রফিকুল সভা পরিচালনা করেন কাজী আবুল বাশার সাধারণ সম্পাদক উক্ত সভা আলোচনা উঠে এসেছে, যে সকল ক্ষেত্রে আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে কর্মচারী নিয়োগ করা আছে অবিলম্বে সেসকল ক্ষেত্রে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণী স্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করা।

নিয়োগকৃত সকল অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ী করণ করা।
আউট সোর্সিং/ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়োগ বাতিল। সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শ্রম আইন অনুযায়ী অভিন্ন সার্ভিস রুল প্রণয়ন করা। সুপার নিউমেরারী পদ বিলুপ্ত করে উক্ত পদে আত্মীকরণকৃত/ নিয়োগকৃত কর্মচারীদের নিয়মিত পদ
প্রদান।
সকল ব্যাংকের একই নীতিমালার আলোকে স্থায়ী কর্মচারীদের পদোন্নতি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান। সকল ব্যাংকের একই পদে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারীদের সমহারে বেতন ভাতা অন্যান্য সুবিধাদি প্রদান। শুক্র/শনি/ বন্ধের দিন কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীদেরকে দৈনিক উপযুক্ত ভাতা প্রদান। এবং বেতনভাতা প্রদানে বৈষম্য দূরীকরণ। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ৫% এর পরিবতে ১০% করা।
সরকারি/ আধা-সরকারি/ সায়ত্বশাসিত/ প্রতিষ্ঠানের ইউনিয়ন এর মত বেসরকারি/ লিমিটেড কোম্পানীতে অবস্থিত ইউনিয়নসমূহে ১০% কোটা ব্যবস্থা শ্রম আইনের অর্ন্তভুক্ত করণের ব্যবস্থা করা। দৈনিক ২৫০ টাকা হারে মাসিক (২৫০×২২)= ৫৫০০ টাকা সকল প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত ভাড়া প্রদান করা। কর্মচারীদের সন্তানদের মাসিক ৫০০০ টাকা শিক্ষা ভাতা সকল প্রতিষ্ঠানে প্রদান করা।
জটিল এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসায় কর্মচারীদেরকে প্রয়োজনীয় আর্থিক অনুদান প্রদান করা। অস্থায়ী/ আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে কর্মরত মহিলা কর্মীদেরকে মাতৃকালীন ছুটি পূর্ণ বেতনে ৬ মাস করা। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে ইউনিয়নের সিবিএ কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের প্রতিনিধি নিয়োগ করা।
শ্রম আইনে যেসব কালাকানুন শ্রমিক কর্মচারীদের পরিপন্থি তাহা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করা অতীত পতিত সরকারের পরিচলানা পর্ষদ কর্তৃক তৈরি করা প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) বাতিল করে তা যুগোপযোগী করে সরকারি গেজেট আকারে জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম)তৈরি করতে হবে।প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্মচারীদের ২৫% পোষ্য কোটা নির্ধারণ করে নিয়োগ ব্যবস্থা করা ব্যাংকিং খাতের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেল প্রবর্তন করা।আলোচনা ও মতামত প্রকাশ করেছেন উপস্থিত সবাই।
উক্ত আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।* রূপালী ব্যাংক পিএলসি, হোসেন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল হক সরদার নিরু, সভাপতি আব্দুর রব হাওলাদার, কার্যকরী সভাপতি বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন. শ্রী বিশু লাল, সভাপতি মোঃ হজরত আলী, সহ সভাপতি মোঃ আবু ইউসুফ, সাধারণ সম্পাদক কর্মসংস্থান ব্যাংক পিএলসি, কাজী নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন মানিক, সভাপতি আসমা আক্তার, মহিলা সম্পাদিক উত্তরা ব্যাংক পিএলসি আবু মো: আহসানুল উদ্দিন, সাধারণ সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ রাশেদুল আমিন, কার্যকরী সদস্য জনতা ব্যাংক পিএলসি, মোঃ ইয়াসিন আলী, সাবেক সভাপতি বাবুল শিকদার, সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি, শফিক উদ্দিন চৌধুরী, সভাপতি কাজী আবুল বাশার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহসিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি আরিফ হোসেন খান রনি , সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফু্র রহমান, কার্যকরী সভাপতি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পিএলসি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ, সভাপতি মোঃ মিরাজ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোছা: শাহরিয়ার ফেরদৌসী, সদস্য বাংলাদেশ ব্যাংক, আক্তার হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ।