মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসে আরও একজন মারা গেছেন। ফলে দেশে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। অন্যদিকে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি, তাই আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯-ই আছে। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও দুজন। সবমিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন সাতজন।
বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত দেশে মোট ৭৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে আরও ৮২ জনের। এদের মধ্যে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি। ফলে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৯-ই থাকলো। তবে আগে থেকে যারা আক্রান্ত ছিলেন, তাদের মধ্যে একজন আজ বুধবার সকালে মারা গেছেন। তার বয়স ৬৪ বছর। তিনি উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। বিদেশফেরত এক ব্যক্তির সংস্পর্শে থেকে গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে গত ২১ মার্চ তাকে রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ডা. ফ্লোরা জানান, দেশে বর্তমানে করোনা নিশ্চিত বা সন্দেহভাজন এমন ৪৭ জন আছেন আইসোলেশনে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪৭ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন আরও দুজন। সব মিলিয়ে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন মোট সাতজন।
ব্রিফিংয়ে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে নাগরিকদের করণীয়ও তুলে ধরেন তিনি।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারি। বিশ্বের ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাসটি। এখন পর্যন্ত এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সোয়া চার লাখ এবং মারা গেছেন প্রায় ১৯ হাজার মানুষ। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক লাখ নয় হাজার ১৪৩ জন।
বাংলাদেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিন দিন এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত ৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন পাঁচজন।
করোনার বিস্তাররোধে এরই মধ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েতের ওপর। চারটি দেশ ও অঞ্চল ছাড়া সব দেশ থেকেই যাত্রী আসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দেশের সব বিপণিবিতান। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আদালতও। এমনকি একাধিক এলাকাকে লকডাউনও ঘোষণা করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন। এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশের সব জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী।