মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথৈবচ অবস্থা  :  আওয়ামীপন্থী কর্মকতাদের দিয়ে চলছে দুই অধিদপ্তর !

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

বিশেষ প্রতিবেদক :  গত ৫  আগষ্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন সংগ্রামের ফলে দেশের  পটপরিবর্তনের পর সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়় ও দপ্তর সমুহে পরিবর্তনের হাওয়়া লাগলেও কোন পরিবর্তন আসেনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয় ও তার অধিদপ্তর সমুহে । আর এটা হচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টার অনাভিজ্ঞতা ও আগষ্ট বিপ্লবের চেতনা ধারন না করার কারণে।


বিজ্ঞাপন

সুত্রটি জানায়, পটপরিবর্তনের পর উপদেষ্টা নিয়োগের আগেই অধিদপ্তরের কয়েকটি পদে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনা হয়। উপদেষ্টা যোগদানের পর আর তেমন কোন দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়নি। কারণ উপদেষ্টার সহযোগীরা প্রায় সকলেই সাবেক ফ্যাসিসট সরকারের সুবিধাভোগী ও দোসর ।


বিজ্ঞাপন

মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আওয়ামীপন্থী হওয়ায় তাকে বাধ্যতামুলক অবসরে পাঠানোর পর মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কর্তৃক সচিবের দায়িত্বে রুটিন দায়িত্ব দেয়া হয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা , প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সেখ মুজিবের ম্যুরাল তৈরীর প্রস্তাবকারী ও বাস্তবায়নকারী জুনিয়র অতিরিক্ত সচিব মো: তোফাজ্জল হোসেনকে । তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর হতে আওযামীপন্থী কর্মকতাদের রক্ষাকবজ হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন । এই আওয়ামীপন্থী জুনিয়র কর্মকতা মো: তোফাজ্জল হোসেনকে সচিবের দায়িত্ব প্রদানের জন্য উপদেষ্টা কর্তৃক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটারও দেয়া হয়।


বিজ্ঞাপন

প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ( বিএনপিপন্থী ) গত ডিসেম্বরে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বৈষম্যের শিকার ৫০/৬০ জন কর্মকতাকে বদলির জন্য মস্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেন কিন্তু রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ও উপদেষ্টা সেটি আমলে নেন নি। যার ফলে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বৈষম্যের শিকার কর্মকতারা এখনও একই অবস্থায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

বর্তমান উপদেষ্টা নিজ ক্ষমতাবলে বিগত ৪ঠা আগষ্ট কথিত শান্তি মিছিলে নেতৃত্বদানকারী প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মুজিবকর্ণার এর উদ্যোক্তা, বিগত ফ্যাসিসট সরকারের সর্বচ্চো সুবিধাভোগী এবং কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অধিকারী আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারন সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের নিকট আতনীয় দূর্নীতিবাজ কর্মকতা ড. আবু সুফিয়ানকে ডিজির দায়িত্ব দিয়েছেন। একইভাবে শান্তি মিছিলে নেতৃত্বদানকারী এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী পিডি ডা: জাহাংগীর আলম সহ অন্যান্য পিডি , উপ পরিচালক , পরিচালকসহ কোন কর্মকতাকে বদলী করেন নি উপরনত শান্তি মিছিলে নেতৃত্ব দানকারীদের কাউকে কাউকে লাভজনক পদে পদায়ন করা হয়েছে উপদেষ্টার অনুমোদন ক্রমে ।
ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগে কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন করেছেন বর্তমান ডিজি। তখন তিনি পরিচালক বাজেটের দায়িত্বে ছিলেন। ফলে ঐ সকল চুক্তি বাতিল না করে নবায়ন করা হচ্ছে ।ঐ সময় কাজটি পরিচালক প্রশাসনের করার কথা থাকলেও তিনি ( বর্তমান ডিজি) ক্ষমতার অপব্যবহার করে তৎকালীন মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিমের মাধ্যমে ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়েছিলেন।

এছাড়া ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় অবৈধভাবে নিয়োগকৃত পিডি ডা: মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে মন্ত্রণাালয়ের যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি কর্তৃক প্রমাণিত কোটি কোটি টাকার র্দুর্নীতির রিপোটটি উপদেষ্টাকে জানানোর পরেও তিনি কোন পদক্ষেপ না নিয়ে ফেলে রেখেছেন । অথচ এই প্রকল্পের মাধ্যমে মূল ডিপিপি বহির্ভূত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল তৈরী করার আদেশ দিয়েছিলেন বর্তমান দাযি়ত্বপ্রাপ্ত সচিব।

সম্প্রতি এফএমডি ভ্যাকসিন ক্রয়ে ২১ কোটি টাকার ব্যবধানে ২য় সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেয়ার সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন এই ভারপ্রাপ্ত ডিজি। একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে যে, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ডিজি ড. মো: আবু সুফিয়ান নিজেকে ভারমুক্ত করার জন্য উপদেষ্টার ইচ্ছার প্রেক্ষিতে অনুগতদের নিয়ে একটি টিম গঠন করেছেন। একইভাবে আর্থিক সুবিধা না পেয়ে বাৎসরিক মেডিসিন ক্রয়ের দরপত্রে নোয়া / কার্যাদেশ প্রদানের পরেও তিনি সেটি বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহ্ববান করে একমি নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মেডিসিন ( নিম্ন মানের) ক্রয়ে কার্যাদেশ প্রদানের অনুমোদন দিয়েছেন ।

বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলানোর জন্য বর্তমান রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব মো: তোফাজজেল হোসেন বিশ্ব ব্যাংকের সুপারিশ উপেক্ষা করে উপদেষ্টাকে ভূল বুঝিয়ে অযাচিতভাবে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা কর্তন করেছেন। ফলে প্রকল্পের কর্মসূচী বাধাগ্রস্থ হচ্ছে এবং বিশ্ব ব্যাংক ও নাখোশ হয়েছে ।
একই ভাবে ভারপ্রাপ্ত ডিজি দিয়ে চলছে মৎস্য অধিদপ্তর । এখানেও পরিবর্তনের কোন ছোঁয়া লাগে নি। মৎস্য অধিদপ্তরের আওয়ামীপন্থী কর্মকতাদের বদলীর বিপক্ষে বর্তমান উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলে একাধিক কর্মকতা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে কথা কলার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব মো: তোফাজ্জল হোসেনকে ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। মুঠো ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন রিপ্লায় দেন নি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *